তেওতা জমিদার বাড়ি
তেওতা জমিদার বাড়ি: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও প্রমীলা দেবীর স্মৃতি
তেওতা জমিদার বাড়ি, মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার একটি ঐতিহাসিক স্থান, যেখানে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী প্রমীলা দেবীর স্মৃতি অমর করে রেখেছে। এই ঐতিহাসিক স্থানে প্রতিটি কোণে ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ অনুভব করা যায়। এখানে কাজী নজরুল ইসলাম এবং প্রমীলা দেবীর প্রেমের গল্প লেখা রয়েছে ইতিহাসের পৃষ্ঠায়।

তেওতা জমিদার বাড়ির ইতিহাস
তেওতা জমিদার বাড়ির ঐতিহাসিক সৃষ্টি যোগাযোগ করা হয় দ্বিতীয় প্রত্নতত্ত্ব শতাব্দীর মধ্যে। এটি মানিকগঞ্জ জেলার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ প্রতিষ্ঠিত হলেও এর সঠিক সূত্র ও ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ এখনো অনেক অজানা। যেকোনো কারণে, এই জমিদার বাড়ির ঐতিহাসিক মূল্য প্রাচীনতম সময়ের মধ্যে হারিয়ে গেছে।
তেওতা জমিদার বাড়ির অস্তিত্ব মানিকগঞ্জের ইতিহাসের আগত স্মৃতির পরিচিতি করা হয়েছে। এই বাড়ি একটি ঐতিহাসিক আকর্ষণ, সেইসাথে এটি কাজী নজরুল ইসলাম এবং তাঁর প্রিয়তমা প্রমীলা দেবীর প্রেমের স্মৃতির আবাসস্থল হিসাবে পরিচিত।
কাজী নজরুল ইসলাম ও প্রমীলা দেবীর প্রেম
কাজী নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশের গৌরবময় সন্তান, এই তেওতা জমিদার বাড়িতে তাঁর প্রিয়তমা প্রমীলা দেবীর সাথে অমর প্রেমে মুগ্ধ হয়ে গান ও কবিতা রচনা করেছিলেন। তাঁর লেখা ‘তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়/সেকি মোর অপরাধ’ নামক কবিতা একটি অমিটিভ ভাবনার প্রকাশ।
প্রমীলা দেবীর পিতা বসন্ত সেনের ভ্রাতুষপুত্র বীরেন সেনের সঙ্গে কবির সখ্যতার কারণে কবি তাঁদের বাড়িতে অবাধ যাতায়াত করতে পারতেন। এই কবিতা তাঁর প্রিয়তমা প্রমীলা দেবীকে উৎসাহিত করতে গানের মাধ্যমে তার সুন্দর সৌন্দর্য ও মর্মান্তিক ভাবনা প্রকাশ করতে সাহায্য করে।
তেওতা জমিদার বাড়ি: আকর্ষণীয় দৃশ্য
তেওতা জমিদার বাড়ির প্রধান ভবনের উত্তরের ভবনগুলোকে হেমশংকর এস্টেট এবং দক্ষিণের ভবনগুলোকে জয়শংকর এস্টেট নামে পরিচিত। প্রতিটি এস্টেটের সামনে নাটমন্দির অবস্থিত, পূর্ব দিকের লালদিঘী বাড়িটি জমিদারদের অন্দর মহল হিসাবে ব্যবহৃত হত। দিঘীতে দুটি শান বাঁধানো ঘাটলা এবং দক্ষিণ পাশে একটি চোরা কুঠুরী বা অন্ধকুপ রয়েছে। উত্তরদিকের ভবনের সামনে ৭৫ ফুট উঁচু ৪ তলা নবরত্ন মঠ রয়েছে। নবরত্ন মঠের ১ম ও ২য় তলার চারদিকে আরো ৪ টি মঠ আছে। প্রায় ৭.৩৮ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত তেওতা জমিদার বাড়িটি দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে অনেক পর্যটকের আগমন ঘটে।
তেওতা জমিদার বাড়ির সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহাসিক মূল্য একসাথে যেন একটি চমৎকার চিত্র গড়ে তোলে। এখানে আপনি একটি ঐতিহাসিক যাত্রা শুরু করে এবং বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং প্রমীলা দেবীর প্রেমের গল্পে মজা পাবেন।

চিত্রসহ সুন্দর তেওতা জমিদার বাড়ি
তেওতা জমিদার বাড়ির চিত্র সহ সুন্দর ভিডিও দেখতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন। চ্যানেল লিংক: টেওতা জমিদার বাড়ি চ্যানেল
আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজটিও লাইক করুন এবং আমাদের সাথে থাকুন। ফেসবুক লিংক: টেওতা জমিদার বাড়ি ফেসবুক পেইজ
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনি এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য পাবেন। আমাদের ওয়েবসাইটে যাতে সরাসরি এই বিষয়ের সম্পর্কে জানতে পারেন। ওয়েবসাইট লিংক: টেওতা জমিদার বাড়ি ওয়েবসাইট

পর্যটন সুযোগ
তেওতা জমিদার বাড়ি একটি প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক স্থান যা পর্যটকদের আকর্ষণীয়ভাবে আকৃষ্ট করে। এখানে দেশ ও বিদেশের অনেক পর্যটক দেখা পায়, যারা এই স্থানের ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক মানসম্পন্নতা উপভোগ করতে আগ্রহী।
এই জমিদার বাড়ির ভবনের ঐতিহাসিক পুরোধা, বিশালকায় সাঁতারের বিশাল দরজা, আর্কেড শিল্পের সুন্দর কাজ, এবং আন্তর্জাতিক প্রয়াত্নের ফলে এটি একটি পর্যটক আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে উল্লিখিত হয়েছে। এখানে আগত পর্যটকরা বৃহত্তর সময় কাটানোর মতো আন্তরিক আনন্দ অনুভব করেন।
তেওতা জমিদার বাড়ির সঙ্গে আবার সম্পর্কিত বিভিন্ন স্থানের পর্যটন সুযোগ আছে, যেমন নদী পার করা, স্থানীয় বাজারে ভ্রমণ, এবং প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থানসমূহের দর্শন।
তেওতা জমিদার বাড়ি সম্পর্কে অধিক জানতে আগ্রহী পর্যটকরা আগামীকালে এই অদৃশ্য জগৎে পাঁচার পেটে ভ্রমণ করতে পারেন।
একেবারে আগত পর্যটকরা এই অসাধারণ স্থানে অভিজ্ঞতা অর্জন করে উৎসাহিত হবেন এবং তাদের জীবনের একটি অবিস্মরণীয় অংশ পেতে পারেন।
কিভাবে যাবেন তেওতা জমিদার বাড়ি
আরিচার শিবালয়ে অবস্থিত ঢাকা থেকে তেওতা জমিদার বাড়ির দূরত্ব প্রায় ৯০ কিলোমিটার। রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে বিআরটিসি, যাত্রীসেবা, পদ্মা লাইনের বাসে চড়ে ৩ ঘন্টা সময়ে আরিচা ঘাট আসতে জনপ্রতি ৭০ থেকে ১০০ টাকা বাস ভাড়া লাগে। আরিচা ঘাট থেকে ২০ – ৩০ টাকা রিকশা ভাড়ায় সরাসরি তেওতা জমিদার বাড়ি যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন এবং কোথায় খাবেন
রাজধানী ঢাকার নিকটবর্তী হওয়ায় তেওতা জমিদার বাড়ি দেখে দিনে দিনেই ফিরে আসা যায়। এছাড়া আসে পাশে থাকার তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। তবে মানিকগঞ্জ শহরে থাকার মত বেশকিছু আবাসিক হোটেল পাবেন। খাবারের জন্য এখানে রয়েছে সাধারণ ও মাঝারী মানের বেশকিছু হোটেল ও রেস্টুরেন্ট। তবে সুযোগ পেলে অবশ্যই মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার তেরশ্রী গ্রামের বিখ্যাত নিজামের মিষ্টির স্বাদ নিতে ভুল করবেন না।
সমাপ্তি
তেওতা জমিদার বাড়ি মানিকগঞ্জের ঐতিহাসিক এবং ঐতিহাসিক স্মৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে কাজী নজরুল ইসলাম ও প্রমীলা দেবীর প্রেমের স্মৃতি বিজড়িত রয়েছে, যা প্রচুর মানুষের আগমন করে।