ইদ্রাকপুর কেল্লা

ইদ্রাকপুর কেল্লা

ইদ্রাকপুর কেল্লা (Idrakpur Fort) মুন্সীগঞ্জ জেলা সদরে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন, যা ১৬৬০ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালিন বাংলার সুবাদার ও সেনাপতি মীর জুমলা ইছামতি নদীর তীরে নির্মাণ করেন। ইদ্রাকপুর কেল্লা, ৮২ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৭২ মিটার প্রস্থে, একটি মজবুত ইটের দূর্গ, মগ জলদস্যু এবং পর্তুগিজদের হাত থেকে রক্ষার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। ইদ্রাকপুর কেল্লা ঢাকার লালবাগ কেল্লা থেকে প্রচলিত সুড়ঙ্গ ছিল, এবং এখানে লোকমুখে প্রচলিত একটি প্রাচীর, বৃত্তাকার বেষ্টনী, এবং খিলানাকার দরজা স্থাপনের বিশেষতা রয়েছে। ইদ্রাকপুর কেল্লা একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকা, যেখানে চারটি নদী (ধলেশ্বরী, ইছামতী, মেঘনা এবং শীতলক্ষা) অবস্থিত। এই দূর্গটি ১৯০৯ সালে মোঘল স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষিত পুরাকীর্তির মর্যাদা পেয়েছে। আসুন জানা যাক এই ঐতিহ্যবাহী দূর্গের কিছু অদ্ভুত ও আকর্ষণীয় বিশেষতা।

ইদ্রাকপুর কেল্লা
ইদ্রাকপুর কেল্লা

ইদ্রাকপুর কেল্লা এবং ঐতিহ্য

ইদ্রাকপুর কেল্লা মোঘল স্থাপত্যের একটি চমৎকার উদাহরণ, যা ১৬৫৮ সালে নির্মাণ কার্য শুরু হয় এবং ১৬৬০ সালে শেষ পায়। এই দূর্গটি মোগল সেনাপতি মীর জুমলা দ্বারা ইছামতি নদীর তীরে নির্মাণ করা হয়েছিল ভূমির রাজস্ব এবং রক্ষার জন্য।

দুই ভাগে বিভক্ত ইদ্রাকপুর কেল্লা একটি সুসজ্জিত প্রাচীর দ্বারা চিহ্নিত, যা দূরবর্তী শত্রুদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য একটি আদর্শ স্থান ছিল। প্রাচীরে বৃত্তাকার বেষ্টনী এবং গোলাকার মঞ্চ দৃশ্যমান, এবং এটির উত্তরে একটি একমাত্র খিলানাকার দরজা রয়েছে। ইদ্রাকপুর কেল্লা বিভিন্ন নদীর (ধলেশ্বরী, ইছামতী, মেঘনা এবং শীতলক্ষা) এককিলোমিটার এলাকায় অবস্থিত, এবং ১৯০৯ সালে এটি মোগল স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষিত হয়।

ইদ্রাকপুর কেল্লা এখন কোঠি হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, এবং এটি সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের পুরাতত্ত্ব বিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এটি প্রতি বছর হাজারো পর্যটকের আকর্ষণ করে, এবং ইদ্রাকপুর কেল্লা হচ্ছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী একটি পর্যটন স্থান।

ইদ্রাকপুর কেল্লা
ইদ্রাকপুর কেল্লা

ইদ্রাকপুর কেল্লা এক নজরে ঐতিহ্যবাহী নিদর্শনে

ইদ্রাকপুর কেল্লা একটি অদ্বিতীয় ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন, যা বাংলাদেশের ঐতিহাসিক অধিকারপত্র হিসেবে পরিচিত। এই দূর্গটি মোগল সেনাপতি মীর জুমলা দ্বারা ইছামতি নদীর তীরে নির্মাণ করা হয়েছিল, এবং এটি ভূমির রাজস্ব এবং রক্ষার জন্য হতে একটি কৌশলশীল কম্প্লেক্স ছিল।

ইদ্রাকপুর কেল্লা একটি সৌন্দর্যময়, চমৎকার দৃশ্য, এবং ঐতিহাসিক মহোল্লায় পূর্ণ অবস্থান রয়েছে। এটি সকল প্রকার পর্যটকদের জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য এবং ঐতিহ্যবাহী দূর্গসমৃদ্ধ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সাক্ষর হিসেবে পরিচিত।

  1. উৎপত্তি এবং নির্মাণ: ইদ্রাকপুর কেল্লা মোগল সেনাপতি মীর জুমলা দ্বারা ইছামতি নদীর তীরে নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি রক্ষার এবং রাজস্বের জন্য একটি কৌশলশীল কম্প্লেক্স ছিল।
  2. সৌন্দর্য: ইদ্রাকপুর কেল্লা একটি চমৎকার সৌন্দর্যময় দৃশ্যের সাথে পরিপূর্ণ হয়েছে। দূরদর্শী মৌলিক স্থানগুলি একটি মহোল্লা রক্ষিত করে যা আত্মহত্যার জন্য অসাধু হতে পারে।
  3. ঐতিহাসিক মহোল্লা: এই কেল্লা একটি ঐতিহাসিক মহোল্লা রক্ষিত করে, যা মোগল কালের ঐতিহাসিক বৈশিষ্ট্যগুলি প্রদর্শন করে। প্রাচীন স্থাপত্য, শিল্পকলা, এবং সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির সাক্ষাত্কার করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
  4. অবস্থান: ইদ্রাকপুর কেল্লা ইছামতি নদীর তীরে অবস্থিত, যা এর পর্যাপ্ত রক্ষা এবং রাজস্ব মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকতে সাহায্য করে।
  5. পর্যটক গন্তব্য: ইদ্রাকপুর কেল্লা সকল প্রকার পর্যটকের জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য, যেখানে আসল মোগল শিল্প, ঐতিহাসিক বৃদ্ধি, এবং প্রাচীন সভ্যতা দেখতে পারা যায়।
  6. প্রাচীন স্থাপত্য এবং শিল্পকলা: ইদ্রাকপুর কেল্লা প্রাচীন স্থাপত্য এবং শিল্পকলার একটি অমূল্য উদাহরণ, যা মোগল সাম্রাজ্যের সমৃদ্ধি ও কৌশলের মুক্তান্তর হিসেবে গণ্য হয়।
  7. পরিক্রমা সুবিধা: ইদ্রাকপুর কেল্লা পর্যটকদের জন্য ভূমির রাজস্ব এবং সুরক্ষার দৃষ্টিকোণ থেকে একটি পরিক্রমা সুবিধা অনুভব করা যায়।
  8. বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সাক্ষর: ইদ্রাকপুর কেল্লা বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সাক্ষর হিসেবে পরিচিত, এটি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক ধারার একটি অংশ।

ইদ্রাকপুর কেল্লা এবং পর্যটকদের জন্য অভিজ্ঞ অভিজ্ঞতা

ইদ্রাকপুর কেল্লা বাংলাদেশের পর্যটকদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়, এবং এটি প্রতি বছর হাজারো পর্যটকের আকর্ষণ করে। এটি ঢাকার কাছে অবস্থিত, এবং দিনে গিয়ে দিনেই একটি সাফল্যমূলক ভ্রমণ হতে পারে।

ইদ্রাকপুর কেল্লার জনপ্রিয়তা এর কারণে, বাস, ট্রেন, এবং এয়ারপোর্ট থেকে এখানে সরাসরি যেতে সহজ এবং সুবিধাজনক। ভ্রমণপ্রিয় মানুষরা ইদ্রাকপুর কেল্লা দেখতে এখানে আসতে সবচেয়ে সহজ মাধ্যম বেছে নেয়েছে।

ইদ্রাকপুর কেল্লা এবং পর্তুগিজ সৃষ্টি

ইদ্রাকপুর কেল্লা তৈরি হয়েছে মগ জলদস্যু এবং পর্তুগিজদের হাত থেকে রক্ষার জন্য। এই দূর্গটি একটি বৃহত্তর অধ্যায়ে পর্তুগিজ দাপ্তরের বাসস্থান ছিল, এবং এখানে অসংখ্য মৌসুমি বন্দর ছিল। ইদ্রাকপুর কেল্লা হলো তার সময়ের একটি রক্ষিত দূর্গ, যা তৎকালীন রাজনীতি এবং যুদ্ধের ঘটনায় একটি কেন্দ্রবিন্দু ছিল।

ইদ্রাকপুর কেল্লা
ইদ্রাকপুর কেল্লা

কিভাবে যাবেন

মুন্সীগঞ্জ জেলা সদরের পুরাতন কোর্ট অফিসের কাছে ইদ্রাকপুর কেল্লা অবস্থান। রাজধানী ঢাকার গুলিস্তান থেকে দিঘীরপাড় এবং ঢাকা ট্রান্সপোর্ট বাসে করে মুক্তারপুর এসে জনপ্রতি ১০ টাকা অটোরিক্সা ভাড়া এবং ২০-২৫ টাকা রিক্সা ভাড়ায় ইদ্রাকপুর কেল্লায় আসা যায়।

কোথায় থাকবেন

সাধারণত ঢাকা থেকে দিনে মুন্সিগঞ্জ গিয়ে দিনেই ঢাকায় ফেরা যায়। তবুও প্রয়োজনে রাত্রি যাপনের জন্য মুন্সিগঞ্জে হোটেল থ্রি স্টার (01715-665829, 01715-177716r) কিংবা হোটেল কমফোর্ট এ ২০০ থেকে ৬০০ টাকায় রাতে থাকতে পারবেন। এছাড়া পদ্মা রিসোর্টেও (01713-033049) গ্রামীণ পরিবেশে রাত্রি যাপন করতে পারেন।

সমাপ্তি

ইদ্রাকপুর কেল্লা একটি অসম্ভাব্য ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন, যা বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ধারার অংশ। এই দূর্গটির সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক মহোল্লা, এবং মোঘল শিল্পকলা দেখতে এটি একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞ দেয়। আপনি যদি বাংলাদেশে ভ্রমণ করতে চান, তবে ইদ্রাকপুর কেল্লা অবশ্যই আপনার পর্যটন তালিকায় থাকতে পারে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *