চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির

চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির

চন্দ্রনাথ পাহাড় হিন্দু ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় তীর্থস্থান এবং সুবিশাল প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয্যের অপরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশের সাক্ষী। এটি বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার সীতাকুণ্ড এলাকায় অবস্থিত। চন্দ্রনাথ পাহাড়ের উচ্চতা ১১৫২ ফুট এবং এটি হেঁটে উঠতে পারিবেন এমন ধরনের প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে জড়িত। এই ব্লগপোস্টে আমরা চন্দ্রনাথ পাহাড় এবং মন্দিরের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয্য এবং তার আকর্ষণীয়তা নিয়ে আলোচনা করব।

চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির
চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির

চন্দ্রনাথ পাহাড়ে যাওয়া

চন্দ্রনাথ পাহাড়ে যাওয়ার জন্য মূলত ব্যবহৃত পথ হল সীতাকুণ্ড বাজার থেকে পাহাড়ের অবস্থান। এই পথে আপনি চোখে পড়বেন সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং ধর্মীয় স্থাপনা যাত্রার মাঝে সম্পূর্ণ আত্মানুষ অভিজ্ঞতা। সীতাকুণ্ড বাজার থেকে পাহাড়ে পৌঁছার পথে ছোট একটি ঝর্ণা দেখা যায়, যা চন্দ্রনাথ পাহাড়ে উঠার জন্য পথের একটি অংশ। এই পাথে আপনি দুটি বিকল্পের মধ্যে বাছাই করতে পারেন: সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠা বা পাহাড়ি পথে হেঁটে উঠা।

চন্দ্রনাথ পাহাড়ের অভিজ্ঞতা

চন্দ্রনাথ পাহাড়ে উঠার পথে আপনি পাহাড়ি পথ বা সিঁড়ি দিয়ে উঠতে পারেন। পাহাড়ি পথ সহজ এবং মজার হলেও সিঁড়ি দিয়ে উঠা অভিজ্ঞতা আরো উত্তেজিত এবং আনন্দদায়ক। চন্দ্রনাথ পাহাড়ের উপরে পৌঁছার সাথে চন্দ্রনাথ মন্দিরের দরজা উঠে আসে। মন্দিরের কাছে ছোট টং দোকান রয়েছে যেখানে পূজা দেওয়ার উপকরণ এবং হালকা খাবার পাওয়া যায়।

চন্দ্রনাথ মন্দির

চন্দ্রনাথ পাহাড়ের শীর্ষে চন্দ্রনাথ মন্দির অবস্থিত। এই মন্দির হিন্দু ধর্মালম্বীদের পুন্যযাত্রার গোলক। প্রতি বছর মহাশিবরাত্রির উপলক্ষ্যে হিন্দু ধর্মালম্বীরা চন্দ্রনাথ পাহাড় এবং মন্দিরে পুণ্যযাত্রা করে আসেন। এই মন্দিরে পূজা এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সব সুবিধা রয়েছে।

চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির
চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির

চন্দ্রনাথ পাহাড় এবং মন্দির

অপরূপ প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয্যের লীলাভূমি: চন্দ্রনাথ পাহাড় এবং মন্দির একটি অপরূপ প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয্যের লীলাভূমি যেখানে মানুষ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করে প্রাকৃতিক পরিবেশের সুন্দরতা অনুভব করতে পারেন। এটি বাংলাদেশের একটি অপরূপ প্রাকৃতিক আকর্ষণ যা অবশ্যই দেখা উচিত।

চন্দ্রনাথ পাহাড়: একটি প্রাকৃতিক অমূল্য অধিভুত

চন্দ্রনাথ পাহাড় বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জগত। এই পাহাড়ে অপরূপ সুন্দর প্রাকৃতিক উদ্ভাবন, একত্রে এসেছে নিরবতা এবং আধ্যাত্মিক বাতাস। এটি হিন্দু ধর্মালম্বীদের জন্য একটি প্রধান তীর্থস্থান এবং পর্যটকদের জন্য একটি অদ্ভুত গন্তব্য।

চন্দ্রনাথ মন্দির: ধার্মিক এবং ঐতিহাসিক অবস্থান

চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়াতেই অবস্থিত চন্দ্রনাথ মন্দির একটি প্রমুখ ধার্মিক স্থান। এই মন্দিরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের ধর্মীয় পূজা-পাঠ করে থাকেন। মন্দিরের চারপাশে আপনি প্রাচীন ধার্মিক প্রতিমা ও আন্তরিক ধার্মিক আনন্দের অনুভব করতে পারবেন।

পাহাড়ে ট্রেকিং: প্রাকৃতিক অভিজ্ঞতা

চন্দ্রনাথ পাহাড়ে পৌঁছার জন্য আপনার একটি ট্রেকিং অভিজ্ঞতা অত্যন্ত সহায়ক। পাহাড়ে উঠার পথে আপনি অনেক স্থানে প্রাকৃতিক ঝর্ণা এবং বন্য জীবনের সাথে পরিচিত হতে পারেন। চন্দ্রনাথ পাহাড়ের উপরে পৌঁছে আপনি অদ্ভুত প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন এবং একটি অপার শান্তির অভিজ্ঞতা অনুভব করতে পারবেন।

সাম্প্রতিক উন্নতি: পর্যটন ও আগ্রহ

চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির সাম্প্রতিক দিনের পর্যটন উন্নতির মুখে আরও আগ্রহী হয়েছে। নানা সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করতে পারেন এবং আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।

চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির দেখতে কিভাবে যাবেন

চন্দ্রনাথ পাহাড় চট্রগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত। তাই যে জায়গা থেকেই চন্দ্রনাথ পাহাড় দেখতে চান আপনাকে প্রথমে সীতাকুণ্ডে আসতে হবে। সীতাকুণ্ড থেকে জনপ্রতি ২০ টাকা সিএনজি ভাড়ায় চলে যেতে পারবেন চন্দ্রনাথ পাহাড়ের পাদদেশে।

চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির
চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির

ঢাকা থেকে বাসে সীতাকুন্ড

ঢাকার সায়েদাবাদ, ফকিরাপুল, মহাখালি যে কোন বাস স্ট্যান্ড থেকে চট্রগ্রাম গামী যে কোন বাসে করেই যেতে পারবেন সীতাকুন্ড। এস আলম, শ্যামলি, সৌদিয়া, ইউনিক, হানিফ, ঈগল, এনা প্রভৃতি পরিবহনের নন এসি বাস ভাড়া ৪২০- ৪৮০ টাকা। এসি বাসের মধ্যে গ্রিনলাইন, সৌদিয়া, সোহাগ, টি আর এইসব বাস ভাড়া ৮০০-১১০০ টাকা।

ঢাকা থেকে ট্রেনে সীতাকুন্ড

ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম গামী যে কোন আন্তঃনগর ট্রেনে এসে ফেনী স্টেশনে নামতে হবে। শ্রেনী ভেদে ট্রেন ভাড়া জন প্রতি ২৬৫-৯০৯ টাকা। ফেনী স্টেশন থেকে ১০-১৫ টাকা রিক্সা/অটো দিয়ে ফেনী মহিপাল বাস স্ট্যান্ড যেতে হবে। সেখান থেকে লোকাল বাসে ৫০-৮০ টাকা ভাড়ায় সীতাকুন্ড যেতে পারবেন।

চট্টগ্রাম থেকে সীতাকুন্ড

চট্টগ্রাম থেকে সিএনজি বা অটোরিক্সা রিজার্ভ নিয়ে সীতাকুণ্ডে আসতে ভাড়া লাগবে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। আর বাসে করে যেতে চাইলে আপনাকে চট্টগ্রাম নগরীর অলংকার, এ কে খান মোড় অথবা কদমতলী যেতে হবে। লোকাল বাসে সীতাকুণ্ড যেতে পারবেন ৪০- ৮০ টাকা ভাড়ায়।

কোথায় থাকবেন

সীতাকুণ্ডে থাকার জন্য হোটেল সৌদিয়া, সাইমুন আবাসিক সহ সীতাকুণ্ড বাজারে কয়েকটি মাঝারি মানের আবাসিক হোটেল আছে। হোটেল সৌদিয়ায় বুকিং দিতে ফোন করতে পারেন 01991-787979, 01816-518119 নাম্বারে। এছাড়া এখানে টেলি-কমিউনিকেশনের অধীনস্থ একটি ডাকবাংলো আছে। অনুমতি নিয়ে সেখানে থাকার চেষ্টা করতে পারেন। ভালো কোথাও থাকতে চাইলে চট্টগ্রাম অলংকার মোড়ে মোটামুটি মানের ৬০০-১৫০০ টাকায় হোটেলে রাত্রি যাপন করতে পারবেন। এছাড়া স্টেশন রোড, নিউমার্কেট, জিইসি মোড়ের আশেপাশে বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেলে রাত্রি যাপন করতে পারবেন।

কোথায় খাবেন

সীতাকুণ্ডে সাধারণ মানের হোটেলের মধ্যে সৌদিয়া রেস্টুরেন্ট, আপন রেস্টুরেন্ট এবং আল আমিন উল্লেখ্যযোগ্য। তবে ভাল খাবার পরিবেশনায় এখানে আল আমিনের বেশ সুনাম রয়েছে।

Similar Posts

  • শৈলপ্রপাত ঝর্ণা

    ভূমিকা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনেক অংশ ছুঁয়ে আছে বন্দরবান জেলায়। এখানে অবস্থিত “শৈলপ্রপাত ঝর্ণা” বাংলাদেশের অন্যতম প্রমুখ পর্যটন স্থানের মধ্যে একটি। প্রাকৃতিক ভাবে অপরিচিত এই ঝর্ণা প্রকৃতির মাধুর্য এবং শান্তির সাথে মিলে থাকে, যা পর্যটকদের আকর্ষিত করে। শৈলপ্রপাত ঝর্ণা একটি অদ্ভুত অভিজ্ঞতা যা পাহাড়, প্রকৃতি এবং শান্তির সমন্বয়ে নির্মিত। ঝর্ণার অবস্থান এবং পরিবেশ বাংলাদেশের সর্বপ্রথম…

  • নীলগিরি

    নীলগিরি একটি অপূর্ব সুন্দর পর্বতীয় অঞ্চল যা বাংলাদেশের পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্য হিসাবে পরিচিত। এই পাহাড়ের শীর্ষস্থ দৃশ্যতে অবস্থিত সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের নামের সাথে মিলে পর্যটকদের মাঝে এটির ডাকনাম “বাংলার দার্জিলিং” হিসাবে পরিচিত। এই লেখায়, আমরা নীলগিরির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ভৌগোলিক অবস্থান, পর্যটন সুবিধা, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করব। Table of Contents: নীলগিরির অবস্থান ও ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য:…

  • গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত

    চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি অপরূপ স্থান। এই পোস্টে আমরা এই অসাধারণ সৈকতের সাহায্যে এক চমৎকার প্রয়াত পর্যটক গড়ে তুলব। গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্যের বর্ণনা করতে শুরু করতে পারি এই সৈকতের সুন্দর সৃষ্টির পেছনের প্রধান কারণগুলি হল দিগন্তজোড়া সাগর জলরাশি ও কেওড়া বনের সমন্বয়ে…

  • বর্ডার হাট, কসবা

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশ-ভারত বর্ডার হাট (Bangladesh-India Border Haat) একটি অনন্য বানিজ্য কেন্দ্র যা দুই দেশের যৌথ মালিকানায় পরিচালিত হয়। ২০১৫ সালের ১১ই জুন এই বর্ডার হাটের উদ্বোধন করা হয়, যা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তের ২০৩৯ নং পীলার সংলগ্ন তারাপুর-কমলাসাগর সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত। এটি শুধু একটি বানিজ্য কেন্দ্র নয়, বরং দুই দেশের মানুষের জন্য…

  • কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

    কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত একটি সৈকত। ১২০ কিলোমিটার (৭৫ মাইল) দীর্ঘ এই সৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতটি পৃথিবীর দীর্ঘতম অখন্ডিত সমুদ্র সৈকত। এ সমুদ্র সৈকতের বৈশিষ্ট্য হলো পুরো সমুদ্র সৈকতটি বালুকাময়, কাদার অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। বালিয়াড়ি সৈকত সংলগ্ন শামুক-ঝিনুকসহ নানা প্রজাতির প্রবাল সমৃদ্ধ বিপণি বিতান, অত্যাধুনিক হোটেল-মোটেল-কটেজ, নিত্য নবসাজে সজ্জিত বার্মিজ…

  • মহেশখালী

    মহেশখালী একটি অপরূপ দ্বীপ যা কক্সবাজার জেলার গুদার জলপাইগুড়ি থেকে শুরু হয়েছিল। এই দ্বীপটি অত্যন্ত মৌলিক এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে পরিপূর্ণ। মহেশখালী দ্বীপের অপরূপ সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক মূল্য, এবং প্রাকৃতিক সমৃদ্ধি প্রকাশ করে। মহেশখালী দ্বীপের ঐতিহাসিক পার্শ্ববর্তন মহেশখালী দ্বীপের ঐতিহাসিক মৌলিক ভূখণ্ড বৌদ্ধ সেন মহেশ্বরের নামের উদ্ভাবন হয়েছিল। এই দ্বীপের নাম ‘মহেশখালী’ হলেও দ্বীপটি প্রায় ২০০…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *