জগদীশ চন্দ্র বসু স্মৃতি জাদুঘর

জগদীশ চন্দ্র বসু স্মৃতি জাদুঘর

জগদীশ চন্দ্র বসু স্মৃতি জাদুঘর ঢাকা থেকে মাত্র ৩২ কিলোমিটার দূরে, মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলায় অবস্থিত একটি অদ্ভুত স্থান। এই জাদুঘরে বাংলাদেশের প্রথম সফল বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুর জীবন, কাজ, এবং ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলির স্মৃতি সংরক্ষিত রয়েছে। এই পোস্টে আমরা জগদীশ চন্দ্র বসু স্মৃতি জাদুঘরের অদ্ভুত আকর্ষণ, ঐতিহাসিক তথ্য, এবং বসুর জীবনকে আলোকপাত করবো।

জগদীশ চন্দ্র বসু স্মৃতি জাদুঘর
জগদীশ চন্দ্র বসু স্মৃতি জাদুঘর

জগদীশ চন্দ্র বসুর জীবনকাহিনী

জগদীশ চন্দ্র বসু ১৮৫৮ সালের ৩০ নভেম্বর বাংলার মুন্সীগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রাথমিক শিক্ষা ও প্রথম আগমন সাহিত্য প্রেমের জন্য তার সৃষ্টি করেছিলো তার মা। একই সাথে, জগদীশ চন্দ্র বসুর বাবা ও শিক্ষকতা এবং আগ্রহী একজন বৈজ্ঞানিক ছিলেন। তার শিক্ষা জীবনের একমাত্র এক উদাহরণ হয়েছে যে, তিনি প্রথম বইটি পড়ার জন্য সহজে পাচ্ছিলেন না, কিন্তু মা তার উত্সাহবদ্ধ চেষ্টার জন্য প্রোত্সাহিত করেছিলেন।

১৮৮০ সালে জগদীশ চন্দ্র বসু চিকিৎসা শাস্ত্রে পড়াশোনা করতে লন্ডন গিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি শিক্ষা কেন্দ্রে পদার্থ, রসায়ন, ও উদ্ভিদ শাস্ত্রে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে নেয়ার জন্য পথ হারিয়েছিলেন। তিনি ১৮৮৪ সালে দেশে ফিরে আসেন এবং পদার্থ, রসায়ন ও উদ্ভিদ শাস্ত্রে ডিগ্রি অর্জন করে উদ্বুদ্ধ হন।

জগদীশ চন্দ্র বসুর কৃতি

জগদীশ চন্দ্র বসু হয়তো বিজ্ঞান জগতের একটি প্রাকৃতিক অপরূপ হতে পারে, তবে তার সাহিত্যিক কাজেও অনেক গুরুত্ব রয়েছে। জগদীশ চন্দ্র বসুর রচিত কবিতা, উপন্যাস, এবং গবেষণা প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সমৃদ্ধ এক সাহিত্যিক জীবন প্রশ্ন তুলে ধরেছেন। তার বিজ্ঞানিক কাজের মাধ্যমেও সে তার আত্মবিশ্বাস ও জজ্বানের কিছু অংশ দেখতে পারা যায়। তার মহান কাজের মধ্যে তার জগতকে প্রকাশ্যের এবং অপরূপ দিকে তার অধ্যয়নের স্পর্শ দেয়ার একটি প্রচেষ্টা রয়েছে।

জগদীশ চন্দ্র বসু স্মৃতি জাদুঘরে দর্শনীয় স্থানগুলি

জগদীশ চন্দ্র বসু স্মৃতি জাদুঘরে আপনি প্রায় ৩০ একর আয়তনে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্যমান হবেন। এখানে আপনি পাচবেন:

  1. বৃক্ষরাজির ছায়াময় প্রকৃতির মাঝে বিভিন্ন পশুপাখির ম্যুরাল: জাদুঘরে বসুর প্রিয় বন্ধুবান্ধবী প্রকৃতির মাঝে বিভিন্ন পশুপাখির ম্যুরাল দেখতে পাবেন, যা তার বৃক্ষবাটিতে চিরসবুজ রঙে চিত্রিত।
  2. কৃত্রিম পাহাড়-ঝরনা: বসুর প্রিয় হিমালয়ের দৃশ্যে অনুমোদন প্রাপ্ত এই কৃত্রিম পাহাড় ও ঝরনা দেখতে আপনি ভোগবেন প্রাকৃতিক শব্দ ও দৃশ্যে।
  3. শান বাঁধানো পুকুর ঘাট: জাদুঘরে একটি শান বাঁধানো পুকুর ঘাটের সাথে সাথে মনোনিবেশ ও আরাম পাচ্ছেন। এই পুকুরে সাঁতার পোকা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য দেখতে পাচ্ছেন।
  4. ত্রিকোণাকৃতির ঘর: জাদুঘরে বসুর ত্রিকোণাকৃতির ঘর এবং প্রাচীন ভারতীয় স্থাপত্য শৈলীর সৌন্দর্য দেখতে পাবেন।
জগদীশ চন্দ্র বসু স্মৃতি জাদুঘর
জগদীশ চন্দ্র বসু স্মৃতি জাদুঘর

জগদীশ চন্দ্র বসুর উদ্যোগ

জগদীশ চন্দ্র বসুর উদ্যোগে ১৯২১ সালে সুরুজ বালা সাহা বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। এই স্কুলটি ছোটদের জন্য একটি আদৃশ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে উত্তরণ করে আসে। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে স্কুলের নাম পরিবর্তন করে স্যার জগদীশ ইনস্টিটিউশন (Sir JagadishChandra Bose Institution) এবং একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

২০১১ সালে জগদীশ ইনস্টিটিউশনের উদ্যোগে জগদীশ চন্দ্র বসু কমপ্লেক্স বাস্তব রূপ লাভ করে, যা মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলায় অবস্থিত। এই কমপ্লেক্সে বসুর জীবন এবং কাজের সম্পর্কে অভিজ্ঞানগত জ্ঞান আবিষ্কার করা যায়।

জগদীশ চন্দ্র বসুর অকীর্তি ও মৃত্যু

১৯৩৭ সালের ২৩ নভেম্বর, জগদীশ চন্দ্র বসু এই বৃহত্তর জীবনাবসান হয়েছেন। তার দেহ মুন্সীগঞ্জের বসুর পরিবারের প্রিয় জমিতে বসানো হয়েছে, যেখানে তিনি তার জীবনের শেষ দিনগুলি কাটাতেন। তার স্মৃতি জাদুঘরে তিনি প্রতি কোণে বসুর জীবন, কাজ, এবং উপাস্য দৃশ্যগুলির সমর্থন সাজিয়ে রেখেছেন।

জগদীশ চন্দ্র বসু স্মৃতি জাদুঘর
জগদীশ চন্দ্র বসু স্মৃতি জাদুঘর

কিভাবে যাবেন

ঢাকার গোলাপ শাহ মাজারের কাছ থেকে ঢাকা-দোহার রুটে চলাচলকারী বাসে চড়ে রাড়িখাল তিন দোকানের সামনে নেমে রিকশা ভাড়া করে জগদীশ চন্দ্র বসু কমপ্লেক্স যাওয়া যায়। এছাড়া ঢাকার পোস্তাগোলা ব্রীজ হতে মাওয়াগামী যেকোন বাসে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর বাজারে নেমে ইজিবাইক নিয়ে রাড়ীখাল গ্রামে অবস্থিত জগদীশ চন্দ্র বসু কমপ্লেক্স যেতে পারবেন।

কোথায় থাকবেন

ঢাকা হতে জগদীশ চন্দ্র বসু স্মৃতি জাদুঘর দেখে দিনে দিনেই ফিরে আসা যায়। তবে প্রয়োজনে রাত্রিযাপন করতে হলে জাদুঘরের কাছে মৃধা আবাসিক হটেল কিংবা মাওয়া ঘাট সংলগ্ন পদ্মা রিসোর্টকে বেছে নিতে পারেন।

সমাপ্তি

জগদীশ চন্দ্র বসুর স্মৃতি জাদুঘর, মুন্সীগঞ্জ, ঢাকা বাসে মাত্র ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এক অদ্ভুত জাদুঘর। বসুর বিজ্ঞানিক কাজ, সাহিত্যিক কৃতি, এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে এই জাদুঘরটি তার জীবন এবং কর্মকাণ্ড একত্রে দেখানোর জন্য একটি অমূল্য স্থান। বাংলাদেশের এই প্রাচীন জাদুঘরে জগদীশ চন্দ্র বসুর উদ্যোগ এবং প্রতিবাদবাদের মাধ্যমে তার জীবনকে জাতীয় স্মৃতি

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *