পানাম নগর

পানাম নগর

পানাম নগর, বাংলাদেশের ঐতিহাসিক প্রাচীন নগরী, একটি সুন্দর ও অদ্ভুত স্থান। ঢাকার পার্শববর্তী নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানায় অবস্থিত এই নগরটি ঈশা খাঁ সোনারগাঁয়ের প্রথম রাজধানী হিসেবে পরিচিত। এই বিশাল নগরের ঐতিহাসিক গল্প ও অদ্ভুত সৌন্দর্যের নির্মাণকলা আমাদের প্রখ্যাত করতে এখনো বাকি আছে। পানাম নগরের বিশেষ ধারণা এবং এই ঐতিহাসিক স্থানের মৌলিক বৈশিষ্ট্যের সমর্থনে এই ব্লগ পোস্টে আমরা এই নগরের সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক মাহকোন, এবং ভারতীয় ঐতিহাসিক পুরাকীর্তির উপর প্রধান কেন্দ্র করব।

পানাম নগরের ঐতিহাসিক পথ

পানাম নগরের উৎপত্তি ১৫ শতকে ঈশা খাঁ সোনারগাঁয়ের বাংলার প্রথম রাজধানী হিসেবে হয়েছিল। এই নগরে সোনারগাঁয়ের প্রায় ২০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে গড়ে উঠে ছিল। পানাম নগরটি অত্র কালে সোনারগাঁয় একটি উজ্জ্বল সভ্যতা এবং শিক্ষার হাট ছিল।

পানাম নগরের ভূগোল

পানাম নগর চতুর্দিক পঙ্খীরাজ খাল দিয়ে ঘেরা হয়েছে, এবং এই খালটি মেঘনা নদীতে মিশেছে। নগরটির পূর্ব দিকে মেঘনা নদী এবং পশ্চিম দিকে শীতলক্ষ্যা রয়েছে। এই নদী পথেই মসলিন রপ্তানি হত। পানাম নগরের প্রবেশ পথে বিশাল গেট রয়েছে, যা সূর্যাস্থের সাথে সাথে বন্ধ করা হয়েছে। বর্তমানেও এই গেটটি আকর্ষণীয় অবস্থায় রয়েছে, যা বিশ্বাস্যতা আবার পুনরুদ্ধারের দিকে তাকিয়ে আসছে।

পানাম নগরের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলি

পানাম নগরের বিভিন্ন স্থাপনাগুলির নির্মাণশৈলী ভিন্নতার ছাপ ধারণ করে। এই অদ্ভুত স্থাপনাগুলি তৎকালীন ধনীক শ্রেনীর জীবনযাত্রার কথা বলছে, এবং এদের দালানে অপূর্ব কারুকার্য ও আভিজাত্য ছোঁয়া হয়েছে।

পানাম নগরের আকর্ষণীয় স্থান

নগরটির অভ্যন্তরে আবাসিক ভবন ছাড়াও মসজিদ, গির্জা, মন্দির, মঠ, নাচঘর, চিত্রশালা, পান্থশালা, খাজাঞ্চিখানা, দরবার কক্ষ, পুরনো জাদুঘর, গোসলখানা ও গুপ্ত পথ রয়েছে। এছাড়া ৪০০ বছরের পুরনো টাকশাল বাড়ি ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির তৈরি নীলকুঠি এখানে দেখতে পাওয়া যায়।

পানাম নগরের সৌন্দর্য

পানাম নগর বিশ্ব ঐতিহাসিক স্থান ফান্ডের তৈরি বিশ্বের ধ্বংসপ্রায় ১০০ টি ঐতিহাসিক স্থাপনার তালিকায় অধিকাংশে অংশগ্রহণ করেছে। এই সেহরে বিশেষভাবে রয়েছে এক ধরণের চরম সৌন্দর্য যা আমাদের পূর্বপুরুষদের সমৃদ্ধি, শিক্ষা, এবং সংস্কৃতির সাথে জড়িত। এই অধ্যায়ে আমরা জানব কীভাবে এই নগর একটি সুপ্রাচীন সভ্যতা ও ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে প্রকাশ পায়েছিল এবং তার মূল্যবান সাক্ষরতা আমাদের একাধিক প্রশ্নের সমাধান করতে সাহায্য করতে পারে।

পানাম নগরের বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যত

বর্তমানে পানাম নগরের কি অবস্থা এবং ভবিষ্যতে এই নগরের উন্নতির দিকে কী পরিকল্পনা রয়েছে, এই অধ্যায়ে আমরা জানতে চেষ্টা করব। বর্তমানেও কি কি আসন্ন প্রজন্মের কোনো আইনজীবী ও পুরাকীর্তির উন্নতির দিকে চলছে, এবং এই নগরটি কী রকমে একটি প্রমুখ পর্যটন হাব হতে পারে, এই বিষয়ে আমরা জানতে চেষ্টা করব।

পানাম নগর, একটি হারানো নগর, আপনার অনভিজ্ঞান্ত দৃষ্টিভঙ্গি দেয়া এবং ঐতিহাসিক মূল্যের সাথে পুরানো সময়ের শখের কাহিনী প্রদান করে। বাংলাদেশের এই অদম্য নগরের প্রতি আমাদের জবানবন্দি সজ্জিত করে এবং এই অদ্ভুত স্থাপনাগুলির প্রস্তুতি এবং সুরক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে এই ঐতিহাসিক নগরের প্রদুষ্ট শখের মূল্য সংরক্ষণ করতে অবিরাম চেষ্টা করতে বলা হচ্ছে।

আপনি যদি পানাম নগরে ঘুরতে আসতে চান, তবে এটি একটি ঐতিহাসিক ও সুন্দর স্থান হিসেবে অবলম্বন করতে পারে। আপনি এখানে প্রাচীন কালের বাংলাদেশের সমৃদ্ধি এবং ঐতিহাসিক প্রস্তুতির অমূল্য অধিকার নিতে পারেন।

পানাম নগরে আর যা দেখবেন

লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর: পানাম নগরী থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দুরত্বে রয়েছে লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর। লোক ও কারুশিল্প জাদুঘরের প্রবেশ পথে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের একটি ভাস্কর্য রয়েছে। জাদুঘরে মোট ১১ টি গ্যালারিতে দুর্লভ ঐতিহ্যের নিদর্শন সংরক্ষিত রয়েছে। গ্যালারিগুলোতে নিপুণ কাঠ খোদাই করা জিনিস, মুখোশ, নৌকার মডেল, লোকজ বাদ্যযন্ত ও পোড়া মাটির নিদর্শন, জামদানি ও নকশিকাঁথা ইত্যাদি স্থান পেয়েছে।

গোয়ালদি মসজিদ:

লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর থেকে মাত্র ১৫ থেকে ২০ টাকা রিকশা ভাড়ায় গোয়ালদি মসজিদ থেকে ঘুরে আসতে পারেন। ১৫১৯ সালে সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহর রাজত্বকালে মোল্লা হিজাবর আকবর খান কতৃক নির্মিত গোয়ালদি মসজিদটি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান।

পানাম নগর কিভাবে যাবেন

ঢাকার গুলিস্তান থেকে দোয়েল, স্বদেশ কিংবা বোরাকের এসি বাসে করে মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা নামতে হবে। গুলিস্তান থেকে উপরোক্ত বাস গুলোর ভাড়ার পরিমান যথাক্রমে ৪৫, ৪০ এবং ৫০ টাকা। মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা থেকে ব্যাটারী চালিত অটোতে কিংবা রিকশায় করে ২০ থেকে ৪০ টাকা ভাড়ায় পানাম নগরীতে যেতে পারবেন।

প্রবেশ ফি :

পানাম সিটিতে প্রবেশ করতে ১৫ টাকার টিকেট কাটতে হয়। জাদুঘরে প্রবেশ করতে জনপ্রতি ৩০ টাকায় টিকিট কাটতে হয়।

সময়সূচী :

প্রতি বুধ ও বৃহস্পতিবার জাদুঘর বন্ধ থাকে।

সতর্কতা :

ভবনগুলো অনেক বছরের পুরনো হওয়া সেগুলি এখন বেশ ঝুঁকিপূর্ণ তাই নির্দেশনা অমান্য করে কোন ভবনের উপরে উঠবেন না।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *