বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্ট

বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্ট

বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর পূর্ব পাশে, তৈরি হয়েছে একটি অপূর্ব রিসোর্ট – বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্ট। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে অবস্তিত এই রিসোর্টটি, তার অনগ্রেজি নামে পরিচিত ছিল ‘যমুনা রিসোর্ট’ (Jamuna Resort) হিসেবে। এখন এটি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় বাঙালি বিশেষ হোটেল হিসেবে পরিচিত আছে, যেখানে আপনি একটি অসাধারণ অভিজ্ঞান অথবা এক দিনের ছুটি উপভোগ করতে পারেন।

বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্ট স্থান

বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্ট সিরাজগঞ্জ ও টাংগাইল জেলার মাঝামাঝি স্থানে অবস্তিত, এটি একটি নিজেস্ব স্বতন্ত্র আদান-প্রদানও অবহিত করে। এই রিসোর্টটি পূর্বে যমুনা রিসোর্ট নামে পরিচিত ছিল, কিন্তু এখন নতুন এবং উন্নত উপায়ে পুনঃনির্মাণ হয়েছে এবং এর নতুন নাম হল “বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্ট”।

সৌন্দর্য ও বাস্তবতা একসঙ্গে

বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্টে আসতে প্রথমবার আপনি আকর্ষণীয় হাওয়ায় ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে পৌঁছতে পারেন। আপনি যদি ট্রেন দিয়ে যান, তারপর কিছুটা গাড়ি দিয়ে রিসোর্ট স্থানীয় প্রতিরক্ষা করতে পারেন। বাস দিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি সরাসরি রিসোর্টে যেতে পারেন, যাতে আপনি যদি এখানে থাকতে চান তবে আপনি তার সৌন্দর্যের সাথে একই সময়ে রাত্রির অভিজ্ঞান পাবেন।

মূল ধারণা

বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্ট, সিরাজগঞ্জ ও টাংগাইল জেলার মাঝে অবস্থিত, একটি আধুনিক স্থান যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং আধুনিক সুবিধার সমন্বয়ে একটি স্বপ্নময় অভিজ্ঞান সম্ভব।

পথের আয়াতন

ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্ট পৌঁছাতে আসতে আপনি ট্রেন বা বাসে ভ্রমণ করতে পারেন। ঢাকা হতে ট্রেনে যাওয়ার জন্য আপনি কমলাপুর জঙ্কশন বা কমলাপুর কন্টারগেট থেকে ট্রেন নিতে পারেন। রুটটি বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্টের সাথে মিলে, আপনি দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দর পথটি পাবেন। আপনি যদি বাস দিয়ে যান, তারপর আপনি সরাসরি রিসোর্টে যেতে পারেন, যেখানে আপনি আপনার পুরস্কৃত প্রাকৃতিক উপভোগ শুরু করতে পারেন।

রিসোর্টে আসার পর

বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্টে আসার পর, আপনি প্রথমবার এখানে পাওয়া আতিথেয়তার মিষ্টি অনুভূতি অনুভব করতে থাকতে পারেন। রিসোর্টে আসার সাথে আপনি আকর্ষণীয় হাওয়ায় ঢাকা শহর থেকে দূরে এসে প্রাকৃতিক শোভা অনুভব করতে পারেন।

সুযোগবদ্ধ বৈশিষ্ট্য

বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্টে অবস্থিত হতে আপনি সৌন্দর্য, বাস্তবতা এবং সুবিধা একসঙ্গে অনুভব করতে পারেন। এই রিসোর্টে রয়েছে বিভিন্ন শ্রেণির কক্ষ, যা আপনার সহিষ্ণুতা এবং আপনার অভিজ্ঞানের মাধ্যমে আপনার প্রয়োজনীয় সুবিধা অনুভব করতে সাহায্য করতে পারে। বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্টে রয়েছে রোয়াল সুইট, ডিলাক্স এক্সিকিউটিভ সুইট, ২ ও ৩ বেডরুমের কটেজ, ডরমিটরি এবং এক্সট্রা বেড সুবিধা।

আকর্ষণীয় সুবিধাগুলি

বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্টে এসে আপনি যদি একটি রিল্যাক্সড অভিজ্ঞান অনুভব করতে চান তাদের জন্য রয়েছে আধুনিক এবং আপনার বিশেষ মুহূর্তে ভাল মনোভাবে অধিকার করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্টে একসাথে ১৫০ জন বসে খাবার গ্রহনের একটি রেস্টুর্যাঁ রয়েছে, যেখানে আপনি সকাল, দুপুর এবং রাতের খাবারের উপভোগ করতে পারেন।

আনন্দ করুন বিভিন্ন আট্রাকশন

বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্টে আসার পর, আপনি প্রথমবার এখানে পাওয়া আতিথেয়তার মিষ্টি অনুভূতি অনুভব করতে থাকতে পারেন।

অনুসন্ধান এবং আবিষ্কারের উপায়ে

বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্টে আসার পর, আপনি প্রথমবার এখানে পাওয়া আতিথেয়তার মিষ্টি অনুভূতি অনুভব করতে থাকতে পারেন।

খেলা-ধুলা সুবিধা

বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্টে খেলা-ধুলা সুবিধা হিসাবে এখানে ফুটবল, হকি, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন ও দাবা খেলার ব্যবস্থা রয়েছে। এই সুবিধাগুলি প্রয়োজনে খেলাধুলা উপভোগ করতে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধবীরা সহ বিনোদন করতে পারেন।

সুবিধাসমূহ

বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্টে আপনাকে একটি পর্যাপ্ত এবং মনোহর সার্বিক অভিজ্ঞতা দেওয়া হয়। রিসোর্টে আপনি পাচ্ছেন:

১. আবাসন

বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্টে বিভিন্ন শ্রেণির আবাসনের সুবিধা রয়েছে, এর মধ্যে রয়েল সুইট, ডিলাক্স এক্সিকিউটিভ সুইট, ২ ও ৩ বেডরুমের কটেজ, ডরমিটরি এবং এক্সট্রা বেড সুবিধা রয়েছে। এই বিভিন্ন ধরণের আবাসনগুলি আপনার আত্মীয়-বন্ধুবান্ধববাসিতার জন্য আদর্শ।

২. রেস্তোরাঁ

রিসোর্টে একটি ১৫০ জন বসে খাবার গ্রহণের জন্য একটি বিশেষ রেস্তুরেন্ট রয়েছে। এই রেস্তুরেন্টে সকাল, দুপুর এবং রাতের খাবারের ব্যবস্থা আছে। আপনি যেমন চান, সেভাবে খাচ্ছেন, সেভাবে পাচ্ছেন!

৩. বিনোদন

বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্টে বিনোদনের জন্য আপনি পাচ্ছেন জিম, হেলথ ক্লাব, সুইমিংপুল, বেকারি, ফরেন মানি এক্সচেঞ্জ এবং স্যুভেনির শপ। এখানে খেলাধুলার জন্য ফুটবল, হকি, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন ও দাবা আয়োজিত হয়।

৪. হলরুম সুবিধা

রিসোর্টে দুটি হলরুম রয়েছে – যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নামে। প্রতি হলরুমে ২০০ মানুষের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন হয়। এছাড়া, নৌভ্রমণ ও রিসোর্টের সাইট ভ্রমণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।

ভ্রমণের ব্যাপারে

বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্টে থাকতে হলে আপনি আপনার পছন্দের আবাসন নির্বাচন করতে পারেন এবং রিসোর্টের অভিজ্ঞতা আরো উন্নত করতে হলে পূর্বের যমুনা রিসোর্টের সাথে তুলনা করতে পারেন। যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র হলরুমে থাকা মাধ্যমে আপনি সুন্দর নদীর মাঝে আপনার মুক্ত সময় কাটাতে পারেন। নৌভ্রমণ ও সাইট ভ্রমণ হলে আপনি অনুভূতি পাচ্ছেন যেন রিসোর্টটি আপনাকে সম্পূর্ণভাবে উৎসর্গ এবং শান্তির মধ্যে আপনার অভিজ্ঞতা দেয়।

বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্টের প্যাকেজ


বিশেষ উৎসব যেমন ঈদ, পহেলা বৈশাখ এবং থার্টিফার্স্ট নাইটে এখানে বিভিন্ন প্যাকেজ চালু থাকে। যার মাথাপিছু খরচ নির্ধারন করা হয় প্যাকেজভেদে ৪০০০ থেকে ৫০০০ টাকা। এছাড়া পিকনিক, গেট টুগেদার, ডিজে পার্টি এবং অফিসিয়াল অনুষ্ঠানের জন্য যমুনা রিসোর্টে সকল ব্যবস্থা রয়েছে। যেখানে ৪০ থেকে ১০০০ জনের পিকনিক আয়োজনের খরচ প্যাকেজ ভেধে ২০,০০০ টাকা থেকে ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত।

কিভাবে যাবেন বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্ট

ঢাকার গাবতলী ও মহাখালী থেকে টাঙ্গাইলের বাসে কম খরচে যমুনা রিসোর্টে যাওয়া যায়। কমলাপুর কিংবা বিমানবন্দর রেল স্টেশন থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর আগের স্টেশনে থামে এমন ট্রেনে করে আসতে পারবেন। রেল স্টেশন থেকে পায়ে হেটে কিংবা রিকশা যোগে যমুনা রিসোর্টে যেতে পারবেন।

এছাড়া বাসে করে ভূঞাপুর উপজেলা গেইট নেমে সেখান থেকে সিএনজি কিংবা রিক্সা ভাড়া করে যমুনা সেতু সংলগ্ন যমুনা রিসোর্ট আসতে পারবেন।

বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্টে যোগাযোগ
কর্পোরেট অফিস:
প্রগতি ইন্স্যুরেন্স ভবন (৭ম তলা) ২০-২১
কাওরান বাজার, ঢাকা ১২১৫
মোবাইল: 01715-852997, 01975-852997
ফেইসবুক: www.facebook.com/jamunaresort
ওয়েবসাইট: www.jamuna-resort-hotel.business.site

Similar Posts

  • পাকুল্লা মসজিদ

    পাকুল্লা মসজিদ, টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার পালপাড়ায় অবস্থিত, একটি ঐতিহাসিক ইসলামী স্থান। এই মসজিদের সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক মূল্য, এবং সাংস্কৃতিক গৌরব একসাথে একটি অলৌকিক অভিজ্ঞান সৃষ্টি করেছে। এই ব্লগ পোস্টে, আমরা পাকুল্লা মসজিদের একটি বিস্তারিত পরিচিতি, ঐতিহাসিক তথ্য, এবং অন্যান্য ক্যাটাগরিতে তার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে চর্চা করব। পাকুল্লা মসজিদের ঐতিহাসিক পৃষ্ঠা পাকুল্লা মসজিদ, আনুমানিক ১৭শ শতকের…

  • |

    যমুনা সেতু

    বঙ্গবন্ধু সেতু, বাংলাদেশের পূর্বাঞ্ছলে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক যমুনা সেতু, পশ্চিমাঞ্চলের সিরাজগঞ্জ জেলার সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে। এই সেতু, যা বঙ্গবন্ধু সেতু হিসেবেও পরিচিত, ১৯৯৮ সালে উদ্বোধন হয়েছিল। এই ব্লগপোস্টে আমরা বঙ্গবন্ধু সেতুর ইতিহাস, নির্মাণ প্রক্রিয়া, উদ্দেশ্য, এবং এটির দেশের আর্থ-সামাজিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করব। ইতিহাস বঙ্গবন্ধু সেতু, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অপূর্ব ঘটনা। ১৯৯৮ সালের জুন…

  • সাগরদীঘি

    টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলা সদর থেকে ৩০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত “সাগরদীঘি” একটি ঐতিহাসিক স্থান। এই স্থানে প্রায় ১৩ একর জায়গা জুড়ে পাল আমলের সাগর রাজা নেতৃত্বে খনন করা হয়েছিল। এই বিখ্যাত দীঘিটি লোকদের মধ্যে “সাগরদীঘি” নামে পরিচিত। লোহিনি নামে পরিচিত এই এলাকার পূর্ব নাম থেকে বর্তমানে সেই স্থানটি “সাগরদীঘি” হিসেবে পরিচিত। সাগরদীঘির উৎপত্তি এবং ইতিহাস…

  • ২০১ গম্বুজ মসজিদ

    টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলায় অবস্থিত “২০১ গম্বুজ মসজিদ” বা “201 Gombuj Masjid/The 201 Dome Mosque” একটি অদ্ভুত সাক্ষর যোগান মন্দির। এই মসজিদটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সংখ্যক গম্বুজ বিশিষ্ট হিসেবে পরিচিত এবং এর ঐতিহাসিক মৌলিকতা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই ব্লগ পোস্টে আমরা এই অদ্ভুত মসজিদের ভিন্নতা, ঐতিহাসিক মৌলিকতা, এবং এর অভিজ্ঞান করব। মসজিদের উৎপত্তি: ২০১ গম্বুজ…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *