বাবা আদম মসজিদ

বাবা আদম মসজিদ

মুন্সিগঞ্জ জেলার মীরকাদিমে অবস্থিত বাবা আদম মসজিদ, ছয় গম্বুজের অদ্ভুত স্থান। এই মসজিদটি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এবং ধার্মিক উপনিবেশের একটি অমূল্য অস্ত্র। বাবা আদমের শহীদে হোক বলে এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে, যা একটি ঐতিহাসিক কাহিনি নিয়ে রূপান্তর করেছে। এই পোস্টে, আমরা এই মসজিদের ঐতিহাসিক মাহাত্ম্য, স্থানীয় অসীম সৌন্দর্য, এবং ভ্রমণের জন্য অনুসরণযোগ্য ট্রিপ গাইড নিয়ে আলোচনা করব।

বাবা আদম মসজিদ
বাবা আদম মসজিদ

বাবা আদম মসজিদের ঐতিহ্য

বাবা আদম মসজিদের ঐতিহ্য মূলত ইসলাম ধর্মের প্রচারে সাধক বাবা আদম শহীদের যাত্রা শুরু হয়েছে। সে সুদূর আরব থেকে এসে ভারতবর্ষে ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন। তার শিক্ষামূলক জীবনকে মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিমে শেষ হতে দেখা গিয়েছে, যেখানে সে ১১৭৮ সালে আগমন করেছিলেন। তার জীবনের এই অধ্যায়ে মুন্সিগঞ্জের ঐতিহ্য এবং বাবা আদম মসজিদের নির্মাণের গল্প বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে।

বাবা আদমের জন্ম ও ইসলাম প্রচার

বাবা আদম মসজিদের উৎপত্তি হোক কীভাবে? বাবা আদম শহীদ (রাঃ), ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে সাধক ছিলেন এবং তার বারেতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে বাবা আদম মসজিদ। তিনি পূর্বে সুদূর আরবে জন্ম নেন, কিন্তু বার্তা ফিরে এসে ভারতবর্ষে ইসলাম ধর্ম প্রচার করতেন। তার আদি পৃষ্ঠা পুরোকালে এই স্থানে তার তত্ত্বগ্রন্থ ছিল এবং তার শিষ্যদের কাছে ইসলামিক শিক্ষা দিতেন। বাবা আদমের এই সাধনা ও ধর্ম প্রচারের জন্য এই স্থানটি হোক বলে জানা হয়।

বাবা আদমের জন্ম ও ইসলাম প্রচার

বাবা আদম মসজিদের উৎপত্তি হোক কীভাবে? বাবা আদম শহীদ (রাঃ), ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে সাধক ছিলেন এবং তার বারেতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে বাবা আদম মসজিদ। তিনি পূর্বে সুদূর আরবে জন্ম নেন, কিন্তু বার্তা ফিরে এসে ভারতবর্ষে ইসলাম ধর্ম প্রচার করতেন। তার আদি পৃষ্ঠা পুরোকালে এই স্থানে তার তত্ত্বগ্রন্থ ছিল এবং তার শিষ্যদের কাছে ইসলামিক শিক্ষা দিতেন। বাবা আদমের এই সাধনা ও ধর্ম প্রচারের জন্য এই স্থানটি হোক বলে জানা হয়।

মুন্সিগঞ্জে বাবা আদমের আগমন

বাবা আদমের জীবনে একটি মুড়ি পাল্টা ঘটে ১১৭৮ সালে, যখন তিনি সেন শাসনামলে আগমন করেন। তার আগমনের সময় মুন্সিগঞ্জ বল্লাল সেনের রাজত্বে ছিল। মুন্সিগঞ্জে এই সময় স্থানীয় যুদ্ধে বল্লাল সেনের হাতে প্রাণ হারান হয়েছিলেন বাবা আদম। তার মৃত্যুর ৩১৯ বছর পর, ১৪৮৩ সালে তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে বাবা আদম মসজিদ নির্মাণ হয়। এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা, যা এখনও এই স্থানের মাহাত্ম্য বৃদ্ধি করে তার অনুগামীদের মধ্যে।

বাবা আদম মসজিদ
বাবা আদম মসজিদ

বাবা আদম মসজিদের স্থাপত্য শৈলী

এই মসজিদের স্থাপত্য শৈলী অদ্ভুত এবং অসাধারণ। মুসলিম স্থাপত্য শৈলীতে লাল পোড়ামাটির নকশাকৃত ইটে এই মসজিদ নির্মিত হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য ৪৩ ফুট এবং প্রস্থ ৩৬ ফুট। এটি একটি দ্বিতীয় তলায় ছয়টি গম্বুজ রয়েছে, যা এই মসজিদকে অনুষ্ঠানিক ও আলোচনার সূচনা করে থাকে। মসজিদের অভ্যন্তরীন অংশে পশ্চিম দেয়ালে অর্ধ বৃত্তাকার কারুকাজ খচিত অবতল মেহরাব ও চার কোনায় গ্রানাইট পাথরের নির্মিত চারটি অষ্টভুজাকৃতির অলংকৃত মিনার রয়েছে। এছাড়া মসজিদের পূর্ব দেয়ালের ওপরের দিকে ফারসি ভাষায় খোঁদাই করা কালো পাথরের ফলক রয়েছে। মসজিদের দক্ষিন পূর্ব কোণে আছে বাবা আদমের মাজার।

বাবা আদম মসজিদের ঐতিহাসিক মাহাত্ম্য

বাবা আদম মসজিদের ঐতিহাসিক মাহাত্ম্য অসাধারণ। এই মসজিদটি একটি একমাত্র ঐতিহাসিক স্থান নয়, বরং এটি ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক ঘটনার অভিজ্ঞানে সমৃদ্ধ। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে এই মসজিদটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে আনা হয়। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এই মসজিদের ছবি দিয়ে ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়। এরপর থেকে দেশ বিদেশের অসংখ্য দর্শনার্থীরা এই মসজিদ দেখতে আসেন, এটির ঐতিহাসিক মাহাত্ম্য ও সৌন্দর্যিক আকর্ষণ জেনে নেতে।

বাবা আদম মসজিদ
বাবা আদম মসজিদ

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে সড়ক পথে মুন্সিগঞ্জের দূরত্ব মাত্র ২৩ কিলোমিটার। ঢাকার গুলিস্থান, আবদুল্লাপুর বা মিরপুর থেকে মাওয়াগামী বাসে চড়ে মুন্সিগঞ্জে যাওয়া যায়। মুন্সিগঞ্জ হতে রিকশা নিয়ে ৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেই বাবা আদম মসজিদ পৌঁছে যাবেন।

চাইলে নৌপথে মুন্সিগঞ্জ যেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ঢাকার সদর ঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মুন্সিগঞ্জগামী লঞ্চে চড়ে বসুন। এরপর মুন্সিগঞ্জ থেকে রিকশা নিয়ে সরাসরি চলে যান বাবা আদম মসজিদে

কোথায় থাকবেন

একদিনে ঢাকা থেকে মুন্সিগঞ্জ ঘুরে ফিরে আসা যায়। তবুও রাত্রিযাপনের প্রয়োজনে জেলা সদরে অবস্থিত হোটেল থ্রি স্টার, হোটেল কমফোর্ট সহ বেশকিছু আবাসিক হোটেল পাবেন। মুন্সিগঞ্জের আকর্ষণীয় রিসোর্টের মধ্যে পদ্মা, মাওয়া ও মেঘনা ভিলেজ হলিডে রিসোর্ট ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

কোথায় খাবেন

মুন্সিগঞ্জে ভালো মানের খাবার হোটেল ও রেস্টুরেন্ট আছে। মুন্সিগঞ্জের চিত্তর দই, আনন্দর মিষ্টি, খুদের বৌউয়া (খুদের খিচুড়ি) এবং ভাগ্যকুলের মিষ্টি বেশ জনপ্রিয় খাবার।

মুন্সিগঞ্জের অন্যান্য দর্শনীয় স্থান

মুন্সিগঞ্জের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে জগদীশ চন্দ্র স্মৃতি জাদুঘর, ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ী ও মাওয়া ফেরি ঘাট উল্লেখযোগ্য।

সমাপ্তি:

বাবা আদম মসজিদ মুন্সিগঞ্জের ঐতিহাসিক এবং ধার্মিক সৌন্দর্য একত্রে সংঘর্ষ করে থাকে। এটি নিজেকে একটি শান্তির অঞ্চলে প্রদর্শন করে, যেখানে প্রাচীন ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় কাহিনীগুলি একটি আধুনিক সম্রাট্ক মূল্যায়ন পায়। এই পোস্টের মাধ্যমে আমি বাবা আদম মসজিদের মূল্যায়ন এবং এটির ভ্রমণের জন্য একটি সম্ভাব্য ট্রিপ গাইড প্রদান করতে চেষ্টা করেছি। আপনি এই সুন্দর স্থানে আসলে তার ঐতিহাসিক রহস্য এবং সৌন্দর্য পূর্ণ পরিবেশে বিশ্বাস করি, আপনি একটি অমূল্য অভিজ্ঞান অর্জন করবেন।

Similar Posts

  • ইদ্রাকপুর কেল্লা

    ইদ্রাকপুর কেল্লা (Idrakpur Fort) মুন্সীগঞ্জ জেলা সদরে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন, যা ১৬৬০ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালিন বাংলার সুবাদার ও সেনাপতি মীর জুমলা ইছামতি নদীর তীরে নির্মাণ করেন। ইদ্রাকপুর কেল্লা, ৮২ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৭২ মিটার প্রস্থে, একটি মজবুত ইটের দূর্গ, মগ জলদস্যু এবং পর্তুগিজদের হাত থেকে রক্ষার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। ইদ্রাকপুর কেল্লা ঢাকার লালবাগ কেল্লা…

  • ষোলআনী সৈকত

    মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানার গহিরা মেঘনা নদীর পাড়ে, প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ষোলআনী সৈকত বাংলাদেশের একটি অদ্ভুত পর্যটন স্থল। পূর্বে দৌলতপুর নামে পরিচিত ছিল, এই স্থানটি এখন ষোলআনী সৈকত নামে পরিচিত। এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, মেঘনা নদীর শান্ত প্রবাহ, এবং প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী পর্যায়ক্রম একসাথে মিশে গড়েছে এক অদম্য পর্যটন স্থল। ষোলআনী সৈকত: এক আকাশচুম্বী স্বর্গ ষোলআনী…

  • জগদীশ চন্দ্র বসু স্মৃতি জাদুঘর

    জগদীশ চন্দ্র বসু স্মৃতি জাদুঘর ঢাকা থেকে মাত্র ৩২ কিলোমিটার দূরে, মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলায় অবস্থিত একটি অদ্ভুত স্থান। এই জাদুঘরে বাংলাদেশের প্রথম সফল বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুর জীবন, কাজ, এবং ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলির স্মৃতি সংরক্ষিত রয়েছে। এই পোস্টে আমরা জগদীশ চন্দ্র বসু স্মৃতি জাদুঘরের অদ্ভুত আকর্ষণ, ঐতিহাসিক তথ্য, এবং বসুর জীবনকে আলোকপাত করবো। জগদীশ চন্দ্র…

  • মেঘনা ভিলেজ হলিডে রিসোর্ট

    বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ণ স্থান মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় প্রায় ৩০ বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত “মেঘনা ভিলেজ হলিডে রিসোর্ট” বাংলাদেশের প্রথম একক প্রকৃতি ও প্রবাসী অনুভূতির স্থান। এই প্রতিষ্ঠানে আপনি প্রকৃতির আশ্রয় নিতে এবং সৌন্দর্যের মধ্যে আপনার বাসতি নেওয়ার জন্য এসেছেন। এই পোস্টে আমরা মেঘনা ভিলেজ হলিডে রিসোর্টের ভিন্নতা, সৌন্দর্য, এবং আকর্ষণগুলি নিয়ে আলোচনা করব।…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *