বালিয়াটি জমিদার বাড়ি

বালিয়াটি জমিদার বাড়ি

বালিয়াটি জমিদার বাড়ি: মানিকগঞ্জের ঐতিহাসিক স্থানাঙ্ক

মানিকগঞ্জ জেলা সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক স্থানাঙ্কের একটি নিখুঁত খাজনা। প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামে অবস্থিত বালিয়াটি জমিদার বাড়ি একটি চমৎকার স্থানাঙ্ক, যেখানে প্রাচীন ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং সৌন্দর্য মিলে একত্রে প্রকাশ পায়। এই ব্যাপক স্থানাঙ্কে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি মূলত আকর্ষণীয় সংরক্ষণকৃত ঐতিহাসিক স্মৃতিকে অবদান রাখে। যাদুঘর নামেও পরিচিত বালিয়াটি জমিদার বাড়ির সৌন্দর্যের গার্ধভাঙ্গি পরিচালনা করে।

বালিয়াটি জমিদার বাড়ি
বালিয়াটি জমিদার বাড়ি

বালিয়াটি জমিদার বাড়ির ঐতিহাসিক অতীত

বালিয়াটি জমিদার বাড়ি অনেককিছু উদ্ভাবনের পরিচিতিসহ বাংলাদেশের প্রাচীনতম জমিদার বাড়ীগুলোর মধ্যে একটি। ঊনবিংশ শতকে নির্মিত ঐতিহাসিক প্রাসাদের চত্বরটি প্রায় ১৬ হাজার ৫৫৪ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত। জমিদার বাড়ির প্রবেশ ফটকের দুই পাশে স্থাপিত রয়েছে দুটি সিংহের মূর্তি, যা অভিজাত্য এবং গর্বের চিহ্ন। এই ঐতিহাসিক স্মৃতিগুলো অবদান রাখে বালিয়াটি জমিদার বাড়ির অবদানের প্রতি সংবেদনশীল পুরোপুরি অংশ হিসেবে।

বালিয়াটি জমিদার বাড়ির প্রাচীরবিশিষ্ট সৌন্দর্য

বালিয়াটি জমিদার বাড়ির প্রাচীর উঁচু সৌন্দর্যের নজির। ব্যাপক চত্বর উঁচু প্রাচীরের দিয়ে ঘেরা এবং জমিদার বাড়ির মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করলেই সুপ্রশস্ত সবুজের ঢাকা আঙ্গিনা চোখে পড়ে। আঙ্গিনায় গড়ে তোলা হয়েছে সুন্দর ফুলের বাগান, যা এই স্থানের সৌন্দর্যে আরো এক অনুভূতি যোগাযোগ করে। প্রাসাদের কক্ষ সংখ্যা ২০০ টি এবং প্রতিটি কক্ষেই সুনিপুণ কারুকাজ লক্ষ্য করা যায়, যা অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং চমৎকার মূল্যের প্রতিফলন। চুন-সুরকি, লোহার পাত আর কাদামাটিতে নির্মিত ভবনগুলোর প্রতিটি দেয়াল প্রায় ২০ ইঞ্চি পুরু, যা তাদের শ্রীমতি ও দুর্বলতা উভয় সমৃদ্ধ করে তুলে।

বালিয়াটি জমিদার বাড়ি
বালিয়াটি জমিদার বাড়ি

বালিয়াটি জমিদার বাড়ির সংরক্ষণ ও পরিচালনা

বর্তমানে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের মাধ্যমে সংরক্ষণ ও পরিচালনা করা হচ্ছে। জমিদার বাড়ির কেন্দ্রীয় ব্লকে রংমহল খ্যাত ভবনে যাদুঘর গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে ব্যক্তিগত স্মৃতি এবং ঐতিহাসিক প্রকাশের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

পরিষ্কার সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ

বালিয়াটি জমিদার বাড়ির চারপাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের চাপে একটি অপ্রত্যাশিত পরিবেশ রয়েছে। বালিয়াটি জমিদার বাড়ির উত্তর-দক্ষিণ দিকে সমাহিত চারটি পুকুর ও জমিদার অন্দরমহল প্রাকৃতিক অবদানের প্রতিচ্ছবি।

বালিয়াটি জমিদার বাড়ি
বালিয়াটি জমিদার বাড়ি

পরিচয়

বালিয়াটি জমিদার বাড়ি দেখতে যাওয়া প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামে। আপনি যদি ঐতিহাসিক স্থানাঙ্কে একটি পর্যটন ভ্রমণে আগ্রহী হন, তবে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি আপনার জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য হতে পারে।

বালিয়াটি জমিদার বাড়ি পরিদর্শনের সময়

গ্রীষ্মকালে (এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর) বালিয়াটি জমিদার বাড়ি সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এবং শীতকালে (অক্টোবর থেকে মার্চ) বালিয়াটি জমিদার বাড়ি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে। শুক্রবার বাদে বছরের অন্যান্য দিন দুপুর ১টা থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সাময়িক বিরতিতে জমিদার বাড়ি বন্ধ থাকে। প্রতি শুক্রবার দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিট থেকে ২ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত নামাযের জন্য জমিদার বাড়ি সাময়িক বন্ধ থাকে।

প্রতি রবিবার পূর্ণ দিবস ও সোমবার অর্ধ দিবস ছাড়াও সকল সরকারি ছুটির দিন বালিয়াটি জমিদার বাড়ি দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকে।

প্রবেশ ফি : বালিয়াটি জমিদার বাড়িতে প্রবেশে জনপ্রতি ২০ টাকা প্রবেশ মূল্য প্রদান করতে হয়। বিদেশী নাগরিকদের জন্য প্রবেশ মূল্য ২০০ টাকা।

কিভাবে যাবেন

ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে আরিচা বা মানিকগঞ্জগামী যে সব বাস সাটুরিয়া হয়ে যায় সেইসব বাসে করে যেতে পারবেন। ভালো হয় গাবতলী থেকে সাটুরিয়া গামী এস বি লিংক পরিবহণে গেলে। সাটুরিয়া পার হয়ে সাটুরিয়ার জিরো পয়েন্টে নেমে যেতে হবে। বাসের সুপারভাইজারকে বালিয়াটি জমিদার বাড়ির কথা বললেই নামিয়ে দিবে। ঢাকা থেকে বাসে সাটুরিয়া জিরো পয়েন্ট যেতে সাধারণত ২ ঘন্টার চেয়ে একটু বেশি সময় লাগে। তবে জ্যামের কথা মাথায় রেখেই আপনাকে রওনা দিতে হবে। জিরো পয়েন্ট সেখানে থেকে জমিদার বাড়ির দূরত্ব ১ কিলোমিটার। ইজিবাইক বা সিএনজি দিয়ে ২০-৩০ টাকা ভাড়া দিয়েই যেতে পারবেন বালিয়াটি প্যালেসে। এছাড়া সাটুরিয়া বাস স্ট্যান্ডে নেমেও সিএনজি/ইজিবাইক দিয়ে যেতে পারবেন ৫০-৬০ টাকা ভাড়ায়।

ঢাকার উত্তরা থেকে যেতে চাইলে আব্দুল্লাপুর হয়ে নবীনগর যাবেন। স্মৃতিসৌধের সামনে থেকে বাস পাবেন সাটুরিয়ার। ভাড়া নিবে ৪০-৫০ টাকা নেবে। সাটুরিয়া থেকে উপরে উল্লেখিত উপায়ে যেতে পারবেন। এছাড়া দেশের অন্য কোন জায়গা থেকে আসতে চাইলে প্রথমে মানিকগঞ্জ এসে স্থানীয় পরিবহনে যেতে পারবেন যে কোন জায়গায়।

আশেপাশের দর্শনীয় স্থান

মানিকগঞ্জ জেলার আরও যেসব দর্শনীয় স্থান দেখতে পারেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : তেওতা রাজবাড়ি, আরিচা ঘাট, শাহ রুস্তমের মাজার, ঈমামপাড়া জামে মসজিদ, নবরত্ন মন্দির, ধানকরা জমিদার বাড়ি, ইব্রাহিম শাহের মাজার ইত্যাদি।

শেষ মন্তব্য

বালিয়াটি জমিদার বাড়ি একটি অসাধারণ ঐতিহাসিক স্থানাঙ্ক, যেখানে প্রাচীন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সমৃদ্ধভাবে প্রতিফলিত হয়ে আসছে। প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামে অবস্থিত এই স্থানাঙ্ক আপনাকে মানিকগঞ্জের ঐতিহাসিক পরিচয়ের মাঝে একটি অনমন্য অভিজ্ঞতা অনুভব করতে সাহায্য করবে। পর্যটকদের কাছ

Similar Posts

  • তেওতা জমিদার বাড়ি

    তেওতা জমিদার বাড়ি: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও প্রমীলা দেবীর স্মৃতি তেওতা জমিদার বাড়ি, মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার একটি ঐতিহাসিক স্থান, যেখানে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী প্রমীলা দেবীর স্মৃতি অমর করে রেখেছে। এই ঐতিহাসিক স্থানে প্রতিটি কোণে ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ অনুভব করা যায়। এখানে কাজী নজরুল ইসলাম এবং প্রমীলা দেবীর প্রেমের…

  • মত্ত মঠ

    মত্ত মঠ, মানিকগঞ্জ জেলা সদরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন, জীবন্ত ইতিহাসের কাহিনী। প্রায় আড়াইশত বছর পূর্বে এই মঠটি হেমসেন নামক একজন অত্যাচারী জমিদার তার পিতার শেষকৃত্য স্থলে নির্মিত হয়েছিল। নিটল দিঘির পাড়ে অবস্থিত মঠটি ১৫ শতাংশ জমির উপর নির্মিত, এবং এর উচ্চতা প্রায় ২০০ ফুট উঁচু। মঠের নির্মাণে ইরাক থেকে আনা হয়েছিল কারিগরবৃন্দ। মত্ত…

  • নাহার গার্ডেন পিকনিক স্পট – Nahar Garden Manikganj

    নাহার গার্ডেন পিকনিক স্পট (Nahar Garden Manikganj) : একটি প্রাকৃতিক আশ্রয় মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের কামতা গ্রামে অবস্থিত নাহার গার্ডেন পিকনিক স্পট (Nahar Garden Manikganj) একটি আদর্শ পর্যটন স্থান। ধলেশ্বরী নদীর সুরমা ঘেষে কোলাহল মুক্ত শান্ত গ্রামীন পরিবেশে সবুজের সমাহর এবং বিশ্রামের স্থানে পরিণত হয়েছে এই পিকনিক স্পট। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে একটি পরিবেশ নাহার…

  • ঝিটকার সরিষা ক্ষেত

    মানিকগঞ্জ জেলার ঝিটকা, বাংলাদেশের একটি অপরূপ স্থান, যেখানে সরিষা ক্ষেতের অসাধারণ সৌন্দর্যের আবির্ভাব হয়েছে। এই ঝিটকার সরিষা ক্ষেত থেকে রাজধানী ঢাকা এসে তাজা খেজুরের রসে ভিগা নিতে এবং প্রাকৃতিক উৎসবে অংশ হতে চাইলে, তাদের জন্য এই পোস্টটি পড়তে উৎসাহিত হোন। এখানে আমরা জানবো কেন ঝিটকা এবং তার সরিষা ক্ষেত একটি অদৃশ্য জোড়া, এবং কেমন একটি…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *