মহেশখালী

মহেশখালী

মহেশখালী একটি অপরূপ দ্বীপ যা কক্সবাজার জেলার গুদার জলপাইগুড়ি থেকে শুরু হয়েছিল। এই দ্বীপটি অত্যন্ত মৌলিক এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে পরিপূর্ণ। মহেশখালী দ্বীপের অপরূপ সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক মূল্য, এবং প্রাকৃতিক সমৃদ্ধি প্রকাশ করে।

মহেশখালী দ্বীপের ঐতিহাসিক পার্শ্ববর্তন

মহেশখালী দ্বীপের ঐতিহাসিক মৌলিক ভূখণ্ড বৌদ্ধ সেন মহেশ্বরের নামের উদ্ভাবন হয়েছিল। এই দ্বীপের নাম ‘মহেশখালী’ হলেও দ্বীপটি প্রায় ২০০ বছরেরও অধিক ঐতিহাসিক অতীতে প্রস্তুত হয়েছিল। মহেশখালী দ্বীপে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক প্রাকৃতিক অপরূপ দেখা যায়, যা প্রাচীন ঐতিহাসিক পর্যায়ে মানুষদের আকর্ষিত করে।

মহেশখালী
মহেশখালী

মহেশখালী দ্বীপের প্রাকৃতিক সমৃদ্ধি

মহেশখালী দ্বীপ প্রাকৃতিক সমৃদ্ধিতে ধারাবাহিক রূপে অত্যন্ত ধনী। এখানে পান, মাছ, শুঁটকী, চিংড়ি, লবণ এবং মুক্তা ইত্যাদি প্রাকৃতিক সম্পদ অবলম্বন করে। এই দ্বীপের সম্প্রতির জনসংখ্যা মাত্র ১৫৫৯ সালের একটি বৃহত্তর ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ফলে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি দ্বীপের রূপে রূপান্তরিত হয়েছিল।

মহেশখালী দ্বীপ পর্যটন

মহেশখালী দ্বীপ পর্যটনের দিক দিয়ে অদ্বিতীয় সুযোগ ও সুবিধা সরবরাহ করে। কক্সবাজার জেলা থেকে এই দ্বীপে পৌঁছাতে প্রায় ১২ কিলোমিটারের দূরে লোকল পরিবহন সুবিধায় যাওয়া যায়। এখানে পর্যটকরা পান্য বাছাই করতে পারেন, যা অত্যন্ত মধুর এবং প্রাকৃতিক। এছাড়াও, মহেশখালী দ্বীপে অবস্থিত সোনাদিয়া, মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা নামে তিনটি ছোট ছোট দ্বীপ আছে যেখানে পর্যটকরা সাক্ষাৎকার করতে পারেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

মহেশখালী দ্বীপে ভ্রমণ

মহেশখালী দ্বীপে ভ্রমণ একটি অদ্ভুত অভিজ্ঞতা যা অবশ্যই অনুভব করা উচিত। এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে পানির সাথে খেলা করা, মছের ধাঁধা, সৈকতের সাথে সময় কাটানো একটি অবশ্যই অভিজ্ঞতা। এছাড়াও, মহেশখালী দ্বীপে মেঘের উপর ক্যাম্পিং করা, ভ্রমণকারীদের অনেক পছন্দ করা সময়পর সময়।

গভীরতা

সহজলভ্য পরিবহন সুবিধা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সমন্বয়ে মহেশখালী দ্বীপ অনুভব করা যেতে একটি অদ্ভুত স্থান। প্রাকৃতিক সম্পদের অভাব এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের সংরক্ষণ বিবেচনায়, মহেশখালী দ্বীপে ভ্রমণ অপরিসীম।

পরিস্থিতি

মহেশখালী দ্বীপে পর্যটকদের মধ্যে সংলগ্ন হওয়ার সুবিধা ও অনেক। এই দ্বীপে পর্যটকরা পানির সাথে ভালো সম্পর্ক গড়তে পারে এবং সৈকতে সময় কাটাতে পারে। এছাড়াও, মহেশখালী দ্বীপে মেঘের উপর ক্যাম্পিং করা একটি অপরাজিত অভিজ্ঞতা।

পরিস্থিতি

মহেশখালী দ্বীপে পর্যটকদের মধ্যে সংলগ্ন হওয়ার সুবিধা ও অনেক। এই দ্বীপে পর্যটকরা পানির সাথে ভালো সম্পর্ক গড়তে পারে এবং সৈকতে সময় কাটাতে পারে। এছাড়াও, মহেশখালী দ্বীপে মেঘের উপর ক্যাম্পিং করা একটি অপরাজিত অভিজ্ঞতা।

কি দেখবেন

মহেশখালি বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়িয়া দ্বীপ। এ দ্বীপের মৈনাক পর্বতের উপরে রয়েছে আদিনাথ মন্দির। এ দ্বীপের কারুকার্য এখানে আসা দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে এছাড়াও বছরের ফাল্গুন মাসে এখানে আদিনাথ মেলা অনুষ্টিত হয়। এখানে রয়েছে বেশ কিছু বোদ্ধ বিহার, জলাবন ও নানা প্রজাতির পশুপাখি। মহেশখালীতে আছে আদিনাথ মন্দির, রাখাইন পাড়া ও স্বর্ণ মন্দির। চাইলে ঝাউবাগান ও চরপাড়া বীচ থেকে ঘুরে আসতে পারেন। চলতি পথেই দেখতে পাবেন পান গাছের বাগান আর লবণের মাঠ। মহেশখালীর পানের সুনাম সারা বাংলাদেশ ব্যাপী তাই এখানে এলে অবশ্যই মনে করে পান খাবেন।

কিভাবে যাবেন

মহেশখালীতে যাওয়ার জন্য পথ দুটি আছে। একটিতে আপনাকে প্রথমে কক্সবাজার আসতে হবে এবং এই পথটিই কক্সবাজারগামী পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক। ঢাকা থেকে কক্সবাজার সড়ক, রেল এবং আকাশপথে যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী বাসগুলোর মধ্যে সৗদিয়া, এস আলম মার্সিডিজ বেঞ্জ, গ্রিন লাইন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, সোহাগ পরিবহন, এস.আলম পরিবহন, সেন্টমার্টিন হুন্দাই ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। শ্রেণী ভেদে বাসগুলোর প্রতি সীটের ভাড়া ৯০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকার পর্যন্ত।

বাংলাদেশ বিমান, নভোএয়ার, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার বিমান ভাড়া ৪,৫৯৯ থেকে ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

কক্সজবাজার শহরের যেকোন জায়গা থেকে মহেশখালী যাবার জেটিতে (৬ নং ঘাট) চলে আসুন। তারপর লোকাল ট্রলার বা স্পীড বোটে ৭০-৮০ টাকা ভাড়ায় মহেশখালি আসবেন। চাইলে স্পিডবোট রিজার্ভ নিতে পারবেন। মহেশখালি এসে সবকিছু ঘুরে দেখতে এক বা দুজন হলে একটা রিক্সা (ভাড়া ১৫০-১৭০ টাকা) অথবা ৫-৭ জন হলে অটো/ইজিবাইক ভাড়া (৩০০-৩৫০ টাকা) করে নিবেন। তবে ভালো করে দরদাম করে নিবেন, না হয় ভোগান্তিতে পরতে পারেন।

আর অন্য পথে যেতে আপনাকে চট্টগ্রাম থেকে সড়ক পথে চকরিয়া এসে বদরখালি হয়ে মহেশখালি আসতে হবে। এ পথে মহেশখালি আসতে দেড় ঘন্টা সময় লাগে। চকরিয়া হয়ে যাবার পথে “মহেশখালী জেটি” চোঁখে পরবে।

কোথায় থাকবেন

অল্প দূরত্ব হওয়ায় মহেশখালী থেকে সহজেই ফিরে আসা যায়। এছাড়া মহেশখালীতে থাকার তেমন ব্যবস্থা নেই তাই রাত্রি যাপনের জন্য ফিরে আসুন কক্সবাজার। অফ সিজনে বুকিং না দিয়ে গেলেও হোটেলে রুম পাবার নিশ্চয়তা থাকে কিন্তু ডিসেম্বরের ১৫ থেকে জানুয়ারী ১৫ তারিখ পর্যন্ত অগ্রিম বুকিং দিয়ে যাওয়াই শ্রেয়। এসময় অগ্রীম বুকিং ছাড়া কক্সবাজার ভ্রমণ করা বোকামি। সাধারণত দামানুসারে কক্সবাজার হোটেল/মোটেল/রিসোর্ট গুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা যায় ।

৬০০০ থেকে ১০.০০০ টাকাঃ মারমেইড বিচ রিসোর্ট, সায়মন বিচ রিসোর্ট, ওশেন প্যারাডাইজ, লং বীচ, কক্স টুডে, হেরিটেজ ইত্যাদি।
৩,০০০ থেকে ৬,০০০ টাকাঃ সী প্যালেস, সী গাল, কোরাল রীফ, নিটোল রিসোর্ট, আইল্যান্ডিয়া, বীচ ভিউ, সী ক্রাউন, ইউনি রিসোর্ট ইত্যাদি।
৮০০ থেকে ৩,০০০ টাকাঃ কোরাল রীফ, ইকরা বিচ রিসোর্ট, অভিসার, মিডিয়া ইন, কল্লোল, হানিমুন রিসোর্ট, নীলিমা রিসোর্ট ইত্যাদি।

মহেশখালী
মহেশখালী

কি খাবেন

অল্প দূরত্ব হওয়ায় মহেশখালী থেকে সহজেই ফিরে আসা যায়। আর তাই সাময়িক ক্ষুদা নিবারণের জন্য দ্বীপেই হালকা খাবার খেয়ে নিতে পারেন। কিংবা ফিরে এসে খেতে পারেন কক্সবাজারে। কক্সবাজারে সব ধরণ ও মানের রেস্টুরেন্ট আছে। মধ্যম মানের বাজেট রেস্টুরেন্টের মধ্যে রোদেলা, ঝাউবন, ধানসিঁড়ি, পৌষি, নিরিবিলি ইত্যাদি উল্লেখ করার মত। সিজন অনুসারে অন্য অনেক কিছুর মত এখানে খাবারের দামও কম/বেশী হতে পারে। ভাত: ২০-৪০ টাকা, মিক্সড ভর্তা: ৭৫/১৫০/৩০০টাকা (৮-১০ আইটেম), লইট্যা ফ্রাই: ১০০-১২০টাকা (প্রতি প্লেট ৬-১০ টুকরা), কোরাল/ভেটকি: ১৫০ টাকা (প্রতি পিচ), গরু: ১৫০-২০০ টাকা (২ জন শেয়ার করতে পারবেন), রপচাঁদা ফ্রাই/রান্না: ৩০০-৪০০ টাকা (বড়, ২জন খাওয়ার মত), ডাল: ৩০-৬০ টাকা। এছাড়াও লাবনী পয়েন্ট সংলগ্ন হান্ডি রেস্তারা থেকে ২০০-২৫০ টাকায় হায়দ্রাবাদী বিরাণী চেখে দেখতে পারেন। আর কেওএফসি তো আছেই।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *