শংকরপাশা শাহী মসজিদ

শংকরপাশা শাহী মসজিদ

হবিগঞ্জ জেলার রাজিউড়া ইউনিয়নে অবস্থিত পঞ্চাদশ শতাব্দীর প্রাচীন এক ঐতিহাসিক মসজিদ, শংকরপাশা শাহী মসজিদ অত্যন্ত প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বের সাক্ষী। এই মসজিদ একটি শিল্পকলা ও ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে পরিচিত এবং সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক ব্যাপারিকতা সহ রয়েছে। এই ব্যাপারিকতা নিয়ে এই বিস্তারিত লেখাটি প্রস্তুত করা হয়েছে যাতে পাঠকরা এই স্থানের গভীর সংস্কৃতি এবং ঐতিহাসিক প্রাচীনতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন।

শংকরপাশা শাহী মসজিদের ঐতিহাসিক মূল্য

শংকরপাশা শাহী মসজিদ হবিগঞ্জের ঐতিহাসিক মসজিদ গুলোর মধ্যে একটি। এই মসজিদের নির্মাণ করা হয়েছিল পাঁচাদশ শতাব্দীতে। এটি সুলতানী আমলের একটি অন্যতম নিদর্শন হিসেবে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছিল। এই মসজিদের নির্মাণে পোড়ামাটির ইট ব্যবহার করা হয়েছিল, যা আপনারা নির্মাণের সময়ে অনুভব করতে পারবেন।

শংকরপাশা শাহী মসজিদ
শংকরপাশা শাহী মসজিদ

শংকরপাশা শাহী মসজিদের আকৃতি ও নকশা

এই ঐতিহাসিক মসজিদের নকশা এবং আকৃতি অত্যন্ত চমৎকার। টেরাকোটা নকশাকৃত চমৎকার নির্মাণশৈলীর এই মসজিদ একটি সুন্দর দৃশ্য প্রদর্শন করে। এটি সুলতানী আমলের সময়ে নির্মিত হওয়া এবং ঐতিহাসিক মহলের প্রচুর বিরাজ এখানে পাওয়া যায়। মসজিদের প্রাচীন নকশা এবং প্রস্থ আপনারা আমাদের নৌকা প্রাচীন কালের বিবর্তন ও ঐতিহাসিক অনুভূতি অনুভব করতে সাহায্য করতে পারে।

শংকরপাশা শাহী মসজিদের আধুনিক অবস্থা

এই ঐতিহাসিক মসজিদ সময়ের প্রভাবে একসময় বিরান হয়েছিল, কিন্তু সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে এখনও এটি সংরক্ষিত রয়েছে। মসজিদের মধ্যভাগে একটি দ্বিতীয় শতকের ধারণার কাজ করা হয়েছে যাতে আপনারা এর ঐতিহাসিক মূল্য সংরক্ষণ করতে সাহায্য করতে পারেন।

পরিসংখ্যানগত তথ্য

শংকরপাশা শাহী মসজিদ একটি চারপাশি মসজিদ যা প্রায় ৬ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত। এর দৈর্ঘ্য ২১ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ৫ ফুট। এছাড়া এটি চারটি কারুকার্যখচিত স্তম্ভ এবং ১৫টি দরজা রয়েছে। মসজিদের দক্ষিণ দিকে একটি বড় দিঘী রয়েছে যা এর সাথে সম্পর্কিত অনুভব করতে সাহায্য করে।

শংকরপাশা শাহী মসজিদ
শংকরপাশা শাহী মসজিদ

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে সড়ক বা রেলপথে হবিগঞ্জ জেলায় যেতে পারবেন। রাজধানীর কল্যাণপুর, ফকিরাপুর কিংবা আরামবাগ থেকে সোহাগ, আল-মোবারাকা, গ্রীণ লাইন, এনা, সৌদিয়া, হানিফ, ইউনিক বাসে চড়ে সরাসরি হবিগঞ্জ অথবা সিলেটগামী বাসে হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ আসতে পারবেন। এছাড়া কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে কালনী, পারাবত, জয়ন্তিকা কিংবা উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনে শায়েস্তাগঞ্জ হয়ে হবিগঞ্জ যেতে পারবেন। হবিগঞ্জ শহর থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে শংকরপাশা মসজিদের অবস্থান। হবিগঞ্জ শায়েস্তাগঞ্জ মোড় থেকে বাস কিংবা সিএনজি নিয়ে রাজিউড়া ইউনিয়নের শংকরপাশা মসজিদ পৌঁছাতে পারবেন।

কোথায় থাকবেন

হবিগঞ্জ শহরে রাত্রিযাপনের জন্য হোটেল রোজ গার্ডেন, আলিফ হোটেল, হোটেল আমাদ, হোটেল বনানী, হোটেল সোনার তরী এবং প্রাইম রোজ ইত্যাদি আবাসিক হোটেল রয়েছে। এছাড়া বিলাসবহুল রিসোর্টে থাকতে চাইলে চলে যেতে পারেন বাহুবল উপজেলায় অবস্থিত দ্যা প্যালেস লাক্সারি রিসোর্টে।

কোথায় খাবেন

হবিগঞ্জ থেকে রাজিউড়া যাবার পথে পানসি, প্রাইম ও ভাই ভাই রেস্টুরেন্টের মতো খাবারের হোটেল রয়েছে। আর হবিগঞ্জে আড্ডা প্লাটিনাম, ফুড প্যালেস, হাংগ্রি, নূরানি রেস্টুরেন্ট, রয়েল ফুড ইত্যাদি রেস্টুরেন্টে বাঙ্গালী, চাইনিজ ও ফাস্টফুড সহ বিভিন্ন ধরণের খাবার পাওয়া যায়।

শংকরপাশা শাহী মসজিদ
শংকরপাশা শাহী মসজিদ

সমাপ্তিতে

শংকরপাশা শাহী মসজিদ হবিগঞ্জের অবিস্মরণীয় ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক স্মরণীয় একটি স্থান। এই মসজিদের প্রাচীন নির্মাণশৈলী, আকৃতি এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব এটিকে একটি অদৃশ্য সাক্ষী হিসেবে রূপান্তরিত করেছে। পাঠকরা যদি এই ঐতিহাসিক স্থানে যান এবং এর ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক সৌন্দর্যে বিশেষ আনন্দ উপভোগ করতে চান, তাদের এই লেখা বিশেষ মানের হিসেবে সহায়ক হতে পারে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *