হাইল হাওর
হাইল হাওর: বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অসাধারণ ঝর্ণা
সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলা সদর, শ্রীমঙ্গল ও হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলা জুড়ে বিস্তৃত একটি বৃহদাকার জলাভূমির নাম হাইল হাওর (Hail Haor)। ১৪ টি বিল ঘেরা হাইল হাওরের সর্বমোট আয়তন প্রায় ১০ হাজার হেক্টর। প্রচুর লতা ও গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ থাকার কারণে স্থানীয়দের কাছে এটি লতাপাতার হাওর নামেও পরিচিত।
হাওরের চিরায়ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নীল আকাশ ও পানির মিতালী যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবির বাস্তব রূপ। সেকারণে হাওড়ের বুকে প্রকৃতিকে উপভোগ করতে সারাদেশের ভ্রমণকারীরা এই ভূস্বর্গে ছুটে আসেন। হাইল হাওরের অপরূপ সৌন্দর্যের পাশাপাশি জীববৈচিত্রেরও কোন ঘাটতি নেই। এই হাওরে প্রায় ৯৮ প্রজাতির মাছ ও প্রায় ১৬০ প্রজাতির পাখির বিচরণ লক্ষ করা যায়।

হাইল হাওর: বাংলাদেশের প্রাকৃতিক অলৌকিক ঝর্ণা
বাংলাদেশ, একটি প্রাকৃতিক রম্য সৌন্দর্যের দেশ। এই দেশের প্রতিটি জায়গায় অলৌকিক সৌন্দর্যের ছায়া পড়ে। হাইল হাওর হলো এমন একটি জায়গা যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে মিলিয়ে মধুর ভাসা পড়ে। হাইল হাওর বাংলাদেশের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থানগুলির মধ্যে একটি।
হাইল হাওরের আকর্ষণীয়তা
হাইল হাওরের আকর্ষণীয়তা বিবেচনা করা যাক প্রথমেই এই জায়গার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। হাওরের পানিতে প্রতিবিম্ব হলো নীল আকাশ এবং পানির মিতালী, যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবির বাস্তব রূপ। এই অপরূপ দৃশ্য দেখতে মন খুলে দিয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্যে মজা নিতে প্রেরিত করে।
হাইল হাওরে প্রায় ৯৮ প্রজাতির মাছ ও প্রায় ১৬০ প্রজাতির পাখির বিচরণ দেখা যায়, যা এই জায়গাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এবং মাছের চমক, হাওরের আবাসিত বাণিজ্যিক জীবন ও নির্মাণকর্ম, সব কিছু হাইল হাওরে একত্রে মিলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ চিত্র গড়ে তোলে।
হাইল হাওরে ভ্রমণ
হাইল হাওরে ভ্রমণ করা অনেকটাই সহজ। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থেকে যাওয়া সহজ একটি ট্রান্সপোর্টে হাইল হাওরে পৌঁছানো সম্ভব। বাংলাদেশের মধ্যবর্তী অঞ্চলের সবচেয়ে নিকটস্থ সিলেট জেলায় অবস্থিত হাইল হাওরে ভ্রমণ করা যেতে পারে একেবারেই।
হাইল হাওরে ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হল শীতকাল। শীতকালে হাওরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবচেয়ে চমকপ্রদ। হাওরে প্রায় সব ধরনের প্রাকৃতিক উদ্ভিদ ও জীববৈচিত্র দেখা যায়। সেই সাথে ভাষা, প্রচলিত সংস্কৃতি, লোকসংস্কৃতি ইত্যাদি স্থানীয় প্রচুর। হাইল হাওরে ভ্রমণ করে মানুষ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আমিষ উপভোগ করে তার সাথে সাথে স্থানীয় সংস্কৃতি এবং প্রচলিত সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হয়ে উঠে।
হাইল হাওরে খাবার
হাইল হাওরে ভ্রমণের সময় অবশ্যই খাবার নিয়ে চিন্তা করতে হবে। স্থানীয় খাবারের অভ্যন্তরীণ রস, স্বাদের মজার সঙ্গম। সিলেটি খাবার প্রায় সবার পছন্দ, এবং হাইল হাওরে প্রচুর সিলেটি খাবার পাওয়া যায়। ভ্রমণকারীরা সিলেটি খাবারের মজা নেওয়ার জন্য অবশ্যই একটি চেষ্টা করবেন।

সুষম সাম্প্রতিক সুবিধাসমূহ
হাইল হাওরে ভ্রমণের জন্য অনেক পরিচিত সুবিধাসমূহ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে হাইল হাওরে যাওয়ার জন্য উচ্চ গতির বাস সুবিধা রয়েছে। বাসে উঠে পৌঁছানো সহজ এবং সম্পর্কেটা সুরক্ষিত এবং অপটিমাম অভিজ্ঞতা দেওয়া হয়।
অতএব, সকলেরই অনুরোধ হলো, হাইল হাওরে ভ্রমণ করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও স্থানীয় সংস্কৃতির মধ্যে মজার আমিষ উপভোগ করুন। এই অপরূপ জায়গা আপনাকে নিখুঁত মনের প্রাকৃতিক অদৃশ্যে নিয়ে যাবে, এবং স্থানীয় সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে সাহায্য করবে।
যাওয়ার উপায়
ঢাকার ফকিরাপুল কিংবা সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে হানিফ, শ্যামলী, এস আলম, এনা পরিবহণের সিলেটগামী বাস শ্রীমঙ্গল পৌঁছাতে পারবেন। এছাড়া কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে পারাবত, জয়ন্তিকা, উপবন প্রভৃতি আন্তঃনগর ট্রেনে চড়েও শ্রীমঙ্গল আসা যায়।
শ্রীমঙ্গল-মৌলভীবাজার সড়কে অবস্থিত কালাপুর বাজার হয়ে বরুনা-হাজীপুর পাকা রাস্তা ধরে হাজীপুর বাজারে চলে আসুন। যদিও স্থানীয়দের কাছে এই বাজারটি ঘাটেরবাজার নামে পরিচিত। ঘাটেরবাজার থেকে যেকোন স্থানীয় যানবাহন কিংবা পায়ে হেঁটে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হাইল হাওর পৌঁছাতে পারবেন।
কোথায় খাবেন
হাওর এলাকার মানুষদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় খরচ দিয়ে অথবা তাদের খাবার শেয়ার করে খেতে পারবেন। প্রয়োজনে বিস্কুট, পাউরুটির মত শুকনো খাবার কিনে নিয়ে যেতে পারেন।

কোথায় থাকবেন
হাওর এলাকায় অবস্থিত বিল ইজারাদারদের দোচালা কুটিরগুলোয় ৪/৫ জন অনায়াসেই থাকা যায়। তবে এর জন্য অবশ্যই বিল মালিকের অনুমতি নিতে হবে। হাওরের রাতের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য বিল এলাকায় তাঁবুতে রাত্রিযাপন করতে পারেন। হাইল হাওরের কাছেই শ্রীমঙ্গলের অবস্থান। আর শ্রীমঙ্গলে বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। যার মধ্যে পাঁচ তারকা হোটেল গ্র্যাণ্ড সুলতান, রেইন ফরেস্ট রিসোর্ট, হোটেল প্লাজা, টি টাউন রেস্ট হাউজ, হোটেল প্লাজা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
মোট মন্তব্য
হাইল হাওর বাংলাদেশের অন্যতম অলৌকিক জায়গা যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে মিলিয়ে অসাধারণ মহৎ ঝর্ণা সৃষ্টি হয়েছে। যার চারপাশে প্রকৃতির সকল প্রকার সৌন্দর্য মিলিয়ে আছে। হাইল হাওরে ভ্রমণ করে মানুষ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আমিষ উপভোগ করে তার সাথে সাথে স্থানীয় সংস্কৃতি এবং প্রচলিত সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হয়ে উঠে। হাইল হাওরে ভ্রমণ করুন এবং এই অপরূপ অভিজ্ঞতার অংশ হিসেবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অদৃশ্য সোঁচাতে একটি নতুন প্রসঙ্গ পান।