গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত

গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি অপরূপ স্থান। এই পোস্টে আমরা এই অসাধারণ সৈকতের সাহায্যে এক চমৎকার প্রয়াত পর্যটক গড়ে তুলব।

গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্যের বর্ণনা করতে শুরু করতে পারি এই সৈকতের সুন্দর সৃষ্টির পেছনের প্রধান কারণগুলি হল দিগন্তজোড়া সাগর জলরাশি ও কেওড়া বনের সমন্বয়ে তৈরি এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। বাঁকা নালা, সবুজ ঘাস, ম্যানগ্রোভ বন এবং সোয়াম্প ফরেস্টের মিশে তৈরি পরিবেশে এই সৈকতের অবস্থান মানুষকে আকর্ষিত করে। সাগরের পাশে প্রত্যক্ষ সবুজ ঘাসের বিস্তার এবং ছোট নালাগুলির মধ্যে পানির ঝর্ণা এই স্থানটি একটি স্বর্গীয় দৃশ্য প্রদর্শন করে।

গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত
গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত

গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে কর্মকান্ড

গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে আপনি নিজেকে আনাদানের অভিজ্ঞতা অনুভব করতে পারেন। আপনি এখানে বোট সারিবদ্ধ হয়ে সমুদ্রে ঘুরে আসতে পারেন এবং সাগরের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।

গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতের আশেপাশের আকর্ষণীয় স্থানসমূহ

গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতের আশেপাশে অনেক আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে। বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত, সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক, চন্দ্রনাথ মন্দির ও পাহাড়, ঝরঝরি ঝর্না, কমলদহ ঝর্ণা, কুমিরা সন্দ্বীপ ঘাট, মহামায়া লেক, খৈয়াছড়া ঝর্ণা, নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা, সহস্রধারা ঝর্ণা ইত্যাদি। এই সকল স্থানে আপনি অপার্থিব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে সময় পাবার উপায়

গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের জন্য প্রাকৃতিক শান্তির একটি অতুলনীয় স্থান। এখানে আপনি সময় কাটাতে পারেন এবং অপার্থিব সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।যেহেতু এই বীচ সীতাকুণ্ডে তাই দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে প্রথমে আসতে হবে সীতাকুণ্ডে। বিভিন্ন উপায়ে ঢাকা বা চট্রগ্রাম থেকে সীতাকুণ্ডে আসতে পারবেন

গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত
গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত

ঢাকা থেকে সীতাকুণ্ড

ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম গামী যে কোন বাসে করেই যেতে পারবেন সীতাকুন্ড। এসি ও নন এসি এইসব বাসের ভাড়া ৪২০-১২০০ টাকা। প্রয়োজন হলে বাসের সুপারভাইজার কে আগেই বলে রাখবেন সীতাকুন্ড নামিয়ে দিতে। ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড মেইল ট্রেনে করে জনপ্রতি ১২০ টাকা ভাড়া সীতাকুণ্ড আসতে পারেন। ঢাকা থেকে আন্তঃনগর ট্রেনে করে ফেনী যেতে পারবেন, শ্রেনী ভেদে ভাড়া ২৬৫-৯০৯ টাকা। ফেনী থেকে লোকাল বাসে করে সীতাকুণ্ড যেতে পারেন। ফেনী থেকে লোকাল বাসে সীতাকুণ্ড যেতে ৫০ থেকে ৭০ টাকা ভাড়া লাগবে।

চট্রগ্রাম থেকে সীতাকুণ্ড

চট্রগ্রামের অলংকার মোড়, এঁকে খান মোড়, কদমতলী থেকে সীতাকুণ্ড যাবার বাস ও মেক্সি পাওয়া যায়। পছন্দ মতো জায়গা থেকে চলে আসতে পারবেন সীতাকুণ্ড বাজারে।

গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত
গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত

সীতাকুন্ড থেকে গুলিয়াখালী

সীতাকুন্ডের বাস স্ট্যান্ড ব্রীজের নিচ থেকে সরাসরি সিএনজি/অটো নিয়ে গুলিয়াখালি বীচের বাঁধ পর্যন্ত চলে যেতে পারবেন। গুলিয়াখালি বীচের বাঁধ পর্যন্ত জনপ্রতি অটো ভাড়া নিবে ৩০ টাকা, আর অটো রিজার্ভ নিয়ে যেতে চাইলে ভাড়া লাগবে ১৫০-২০০ টাকা। ভাড়ার পরিমাণ অবশ্যই দরদাম করে ঠিক করবেন। সীতাকুণ্ড ফিরে আসার জন্যে আগে থেকেই সিএনজি চালকের নাম্বার নিয়ে রাখতে পারেন। অথবা যাওয়া আসা সহ রিজার্ভ করে নিতে পারেন। সন্ধ্যা হয়ে গেলে অনেক সময় ফিরে আসার সময় সিএনজি/অটো পাওয়া যায় না।

থাকা ও খাওয়া

গুলিয়াখালি সি বিচে থাকা ও খাবার কোন ব্যবস্থা নেই। শুধুমাত্র সী-বিচে ছোট একটি দোকান আছে তাই প্রয়োজনে সীতাকুণ্ড বাজার থেকে সাথে খাবার নিয়ে নিন। থাকতে চাইলে সীতাকুণ্ড বাজারে সাইমুন এবং সৌদিয়া হোটেলে থাকতে পারবেন। সাইমুনে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায় রুম পাবেন আর সৌদিয়ায় রুম পেতে আপনাকে গুনতে হবে ৬০০ থেকে ১৬০০ টাকা। বুকিং দিতে ফোন করতে পারেন 01991-787979, 01816-518119 নাম্বারে। আরো ভালো কোথাও থাকতে চাইলে আপনাকে চট্রগ্রাম চলে যেতে হবে।

সমাপ্তি:

গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক আকর্ষণের একটি অদ্বিতীয় অংশ। এখানে আপনি নিজেকে আনাদানের অভিজ্ঞতা অনুভব করতে পারেন এবং আপনার জীবনের সেরা মুহূর্তগুলি তৈরি করতে পারেন। তাই, এই প্রাকৃতিক আকর্ষণের সুন্দরতা উপভোগ করতে চলে গিয়ে এই সৈকতে সময় কাটান।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *