হিমছড়ি
হিমছড়ি – একটি নাম যা মনে করতেন আপনি কি বিশেষ প্রাকৃতিক প্রদর্শনী সাক্ষাৎকার করতে যাচ্ছেন? নিজেকে পাহাড়ের কোলে অবস্থিত একটি ঝর্ণার সাথে ঘেরে একটি মেরিন ড্রাইভ রোডের উদ্দিপনা করতে পারেন। আমরা কক্সবাজারে হিমছড়ি সম্পর্কে কথা বলব। কক্সবাজার থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এই স্থানে হিমছড়ির ছোট বড় ঝর্ণা, পাহাড় আর ফটোগ্রাফিক সমুদ্রতট পর্যটকদের বিমোহিত করে রাখে।
হিমছড়ির অদ্ভুত সৌন্দর্য
হিমছড়ি পর্যটকদের প্রিয় স্থানের মধ্যে একটি। এটি একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অদান। যেহেতু এটি হিমছড়ি নামে পরিচিত, এটি অত্যন্ত সুন্দর হিমের পরিবেশে অবস্থিত। প্রকৃতির সৌন্দর্যের অবাক দৃশ্য দেখতে আপনাকে এই স্থানে অবশ্যই একবার যেতে হবে।

ভ্রমণের উপকরণ হিমছড়ি
হিমছড়ি যেতে হলে আপনি কক্সবাজার থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এই স্থানে পৌঁছতে পারবেন। ভ্রমণের উপকরণ নিচে দেয়া হলো:
- ট্রান্সপোর্টেশন: কক্সবাজার থেকে পাহাড়ে যাওয়া সহজ। আপনি ট্রাক, বাস, বা প্রাইভেট গাড়িতে ভ্রমণ করতে পারেন।
- পাহাড় পর্যটক গাইড: আপনি পাহাড় পর্যটক গাইড নিয়ে হিমছড়ি পর্যটন করতে পারেন, যা আপনাকে ভ্রমণের প্রস্তুতি ও সুরক্ষা উভয় দিতে সাহায্য করবে।
- ভ্রমণের সময়: হিমছড়ি পর্যটন করার সবচেয়ে ভালো সময় হলো শীতকাল বা পূর্ণতার সময়। শীতকালে, হিমছড়ি আরো সুন্দর দৃশ্য প্রদান করে।
হিমছড়ির আকর্ষণীয়তা
হিমছড়ি আকর্ষণীয় একটি স্থান যেখানে পর্যটকরা একটি আলাদা অভিজ্ঞতা অনুভব করতে পারেন। এখানে আপনি সারাবছর হিমছড়ি যেতে পারবেন, তবে বর্ষায় ঝর্ণাগুলে পূর্ণতা পাওয়া যায়। হিমছড়ির পাহাড়, ঝর্ণা, ও মেরিন ড্রাইভ রোড সব একসাথে একটি অদ্ভুত দৃশ্য প্রদান করে। প্রকৃতির অপেক্ষায় ভ্রমণকারীদের এক নির্দিষ্ট শান্তি অনুভব হয়।
হিমছড়ি ভ্রমণের যোগ্য সময়
হিমছড়ি ভ্রমণের সর্বোত্তম সময় শীতকাল। ঠান্ডা সময়ে, হিমছড়ির পরিবেশ আরো সুন্দর হয়। একটি রোমাঞ্চক অভিজ্ঞতা পেতে শীতে হিমছড়ি ভ্রমণ করা সর্ম্পূর্ণ হতে পারে।
সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশ
হিমছড়ির আশেপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ আরো একটি আকর্ষণীয় দৃশ্য প্রদান করে। পর্যটকরা সার্বিক পরিবেশের সমৃদ্ধি ও শান্তি অনুভব করতে পারেন।

সামাজিক সংস্কৃতি ও প্রথার অভিজ্ঞতা
হিমছড়ি ভ্রমণ করার মাধ্যমে আপনি স্থানীয় সামাজিক সংস্কৃতি ও প্রথার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। এটি স্থানীয় জনগণের জীবনধারা এবং সামাজিক ক্রিয়াকলাপের মেলানোর একটি সুযোগ প্রদান করে।
সুরক্ষিত ভ্রমণ
হিমছড়ি ভ্রমণ করার সময় আপনার নিরাপত্তা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত সতর্কতা অনুসরণ করা উচিত যাতে আপনি সুরক্ষিত থাকেন। ভ্রমণের জন্য স্থানীয় গাইড নিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও ভালো হবে।
সবুজ পরিবেশে পর্যটন
হিমছড়ির পরিবেশ সবুজ ও পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় একটি স্থান। এটি পর্যটকদের জন্য একটি পরিবেশের অন্যতম উন্নত রূপ প্রদান করে। এখানে ভ্রমণ করার অভিজ্ঞতা দ্বারা পর্যটকরা নিজেদের আত্মীয়তা আরো অনুভব করতে পারেন।
পরিস্থিতি সংরক্ষণ
হিমছড়ির পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য আমরা সবাই দায়িত্বশীল। ভ্রমণকারীরা আগ্রহী হতে পারেন পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য তাদের সাথে যুক্ত হতে। আমরা সবাই প্রকৃতির সংরক্ষণের জন্য সহায়তা করতে পারি।
কিভাবে যাবেন
হিমছড়ি যেতে হলে প্রথমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার আসতে হবে। কক্সবাজার আসতে বিভিন্ন ধরণের এসি-নন এসি বাস সার্ভিস রয়েছে বাস ভেদে ভাড়া জনপ্রতি ৯০০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে করে কক্সবাজার যেতে পারবেন। আর যদি বাজেট নিয়ে কোন টেনশন না থাকে তবে কক্সবাজার যাবার জন্য আকাশ পথ বেছে নিতে পারেন।
কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি
কক্সবাজারের যে কোন জায়গা থেকে ইজিবাইক/অটো অথবা সিএনজি দিয়ে হিমছড়ি ঘুরে আসা যায়। রিজার্ভ নিতে চাইলে সিজন অনুযায়ী ভাড়া লাগবে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। এছাড়া কলাতলী মোড় থেকে লোকাল ইজিবাইকে/সিএনজিতে করে হিমছড়ি যাওয়া যায়। আপনারা একসাথে কয়েজন হলে খোলা জীপে করেও ঘুরে আসতে পারবেন।
হিমছড়ি ও ইনানী বীচ একই রোড ধরে। তাই আপনার প্ল্যানে যদি ইনানী বীচ যাবার পরিকল্পনা থাকে তাহলে একসাথে দুই জায়গা দেখার জন্যে গাড়ি নেওয়া সুবিধাজনক হবে। রিজার্ভ গাড়ি ঠিক করার সময় অবশ্যই দড়দাম করে নিবেন। কোথায় কতক্ষণ সময় ব্যয় করবেন ও কি কি ঘুরে দেখবেন তা আগেই আলোচনা করে নিবেন।
হিমছড়ি ইকোপার্ক পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশের জন্য ২০ টাকার টিকেট কাটতে হবে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার আরো বিস্তারিত তথ্য জানতে পড়ুন আমাদের কক্সবাজার যাওয়ার উপায় গাইডলাইন।

কোথায় থাকবেন
কক্সবাজারের খুব কাছে হওয়ায় কক্সবাজার হোটেলে থাকাই সবচেয়ে সুবিধাজনক। ১,৫০,০০০ পর্যটকদের আবাসনের কথা ভেবে কক্সবাজার গড়ে উঠেছে প্রায় পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ। এগুলোর মধ্যে মারমেইড বিচ রিসোর্ট, সায়মন বিচ রিসোর্ট, ওশেন প্যারাডাইজ, লং বীচ, কক্স টুডে, সী প্যালেস, সী গাল, কোরাল রীফ, নিটোল রিসোর্ট, আইল্যান্ডিয়া, বীচ ভিউ, সী ক্রাউন, ইউনি রিসোর্ট, উর্মি গেস্ট হাউজ, কোরাল রীফ, ইকরা বিচ রিসোর্ট, অভিসার, মিডিয়া ইন, কল্লোল, হানিমুন রিসোর্ট, নীলিমা রিসোর্ট উল্লেখযোগ্য। এসব হোটেলের ফেইসবুক পেইজ কিংবা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে পারেন বিস্তারিত। সিজন ভেদে এইসব হোটেলের ভাড়ার তারতম্য হয়।
তাই অল্প খরচে খরচে থাকতে চাইলে একটু ভিতরের দিকে থাকতে পারেন। লাবনী বিচের ঐদিকে থাকলে তুলনামূলক কম ভাড়ায় হোটেল ও কটেজ পাওয়া যায়। বিচ থেকে একটু দূরে ও মেইন রোড থেকে ভিতরের দিকের হোটেল ও রিসোর্ট পাবেন কম টাকায়।
কোথায় খাবেন ও কি খাবেন
আনায়াসেই ৩-৪ ঘন্টায় হিমছড়ি থেকে ঘুরে আসা যায় তাই চাইলে হালকা শুকনো খাবার সাথে রাখতে পারেন কিংবা পুনরায় কক্সবাজার ফিরে খেতে পারেন। কক্সবাজারে খাবার জন্য বিভিন্ন মানের রেস্তোরাঁ রয়েছে। মধ্যম মানের রেস্টুরেন্টের মধ্যে রোদেলা, ঝাউবন, ধানসিঁড়ি, পৌষি, নিরিবিলি ইত্যাদি উল্লেখ করার মত।
সমাপ্তি
হিমছড়ি একটি আলাদা পর্যটন গন্তব্য যেখানে পর্যটকরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে ঘনিষ্ট যোগাযোগ অনুভব করতে পারেন। আমরা আপনাকে হিমছড়ি সম্পর্কে একটি ধরনের অভিজ্ঞতা অভিজ্ঞ করার জন্য আহ্বান জানাই। তাহলে এখনি পর্যটন পরিচিতি করুন এবং আপনার পরিবেশে অনুভব করুন।
হিমছড়ি আসতে হলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে আপনি কি অপরিসীম সংস্কৃতি অনুভব করতে চান? এটি সম্পূর্ণ স্থানীয় অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার জন্য একটি সুযোগ। আপনি কি আমাদের এই পর্যটন গন্তব্যে যাওয়ার প্রস্তুতি করতে চান? আসুন এবারই শুরু করি।