নিকলী হাওর

নিকলী হাওর

নিকলী হাওর, বাংলাদেশের অদৃশ্য এলাকায় অবস্থিত, একটি প্রাকৃতিক অদ্ভুত স্থান। এই হাওরে প্রবাহিত জলের পারদেশী দৃশ্য, স্বচ্ছ জল, ছোট গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, এবং মুখোমুখি কিশোরগঞ্জ জেলায় অবস্থিত নিকলি উপজেলা এসেছে একটি অদ্ভুত ভ্রমণের অপরূপ অভিজ্ঞতা। যদি আপনি নিকলী হাওরে একটি নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ পেতে চান, তবে এই পোস্টটি আপনার জন্যে একটি পরিপূর্ণ গাইড হতে পারে।

নিকলী হাওর
নিকলী হাওর

নিকলী হাওর এবং এর পরিচিতি

নিকলী হাওর কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলি উপজেলায় অবস্থিত। এটি কিশোরগঞ্জ সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, এবং এটি একটি প্রাকৃতিক জলরাশির মধ্যে অবস্থিত। নিকলী হাওরের সান্দ্রপ্রদ জলভাসা এবং তার চারপাশে অবস্থিত সুস্থ প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্যে এটি অজুবর্দ্ধনীয়।

নিকলী হাওরের বৈশিষ্ট্যগুলি:

  • স্বচ্ছ জল: নিকলী হাওরের জল অত্যন্ত স্বচ্ছ এবং প্রকৃতিক অতীত রহিত। এটি অধীনস্থ জীববৈচিত্র্য এবং প্রবাহিত জলের সংরক্ষণের জন্য অধিক পর্যাপ্ত মাধ্যমে প্রস্তুত।
  • গ্রামীণ জীবন: নিকলী হাওর পারদেশী ছোট গ্রামের মতো, যেথা লোকজন প্রাকৃতিক পরিবেশে ভাসমান এবং সম্প্রসারিত। এখানে আপনি প্রাকৃতিক জীবনের সাথে একত্র হয়ে থাকতে পারেন।
  • মাছ ধরনোর বিশেষ অভিজ্ঞতা: নিকলী হাওরে জলে প্রচুর সংখ্যক মাছের প্রজন্ম রয়েছে। এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাছ ধরার স্থান, যেখানে লোকজন দিনের জন্যে মাছ ধরতে ব্যস্ত।

এই অংশে, আমরা নিকলী হাওর এবং এর বৈশিষ্ট্যগুলির প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং এটির জনপ্রিয়তা কেন।

নিকলী হাওর
নিকলী হাওর

নিকলী হাওরে ঘুরে বেড়ানোর উপায়

নিকলী হাওর ঘুরতে একটি নৌকা ভ্রমণ হলে এটি একটি অপরূপ অভিজ্ঞতা হয়। এখানে আপনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বিচরণমূলক দৃশ্য, এবং গ্রামীণ জীবনের সাথে একত্র হয়ে থাকতে পারবেন।

নৌকা ভ্রমণের সুবিধা:

  • নিকলী হাওরে প্রবাহিত জল: নৌকা ভ্রমণের মাধ্যমে আপনি স্বচ্ছ জলের উপর প্রবাহিত হয়ে সারাদিন আনন্দ করতে পারবেন।
  • গ্রামীণ জীবনের অভিজ্ঞতা: নৌকা ভ্রমণের সাথে আপনি নিকলি হাওরের সুন্দর ছোট গ্রামগুলির জীবনের অংশ হিসেবে থাকতে পারবেন। স্থানীয় লোকের সাথে একত্র হয়ে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতা করতে এটি একটি আপরূপ সুযোগ।
  • জলের খেলা এবং মাছ ধরার আদর্শ স্থান: নৌকা ভ্রমণে আপনি নিকলী হাওরের মাঝে থাকা ছোট দ্বীপগুলির উপর প্রবাহিত হয়ে এবং মাছ ধরার আদর্শ স্থানে পৌঁছতে পারবেন।

নিকলী হাওরে ভ্রমণ করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থবর্তী তথ্য আপনার চোখের মুখে রাখতে হবে।

  • সুরক্ষা প্রথম: নৌকা ভ্রমণে অবশ্যই সুরক্ষা উপায় গ্রহণ করতে হবে। জীবনকে উপভোগ করার জন্যে ভারী নৌকা ভ্রমণের সময়ে নিরাপদ থাকতে বলা হয়েছে।
  • জীবন্ত অভিজ্ঞতা এবং স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংস্কার: আপনি স্থানীয় লোকের সাথে ভালো মিল করতে চাচ্ছেন, তাদের সাথে একত্র হোক এবং তাদের জীবনযাপন, উপভোগ, এবং সাংস্কৃতিক সংস্কারে ভাগ নিতে চাচ্ছেন।
  • সম্প্রসারিত সময় পরিকল্পনা: নিকলি হাওরে ভ্রমণের আগে সম্প্রসারিত সময় পরিকল্পনা করতে না ভুলুন। জীবনের এই অদৃশ্য স্থানগুলির সাথে একটি বৃহত্তর অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে আপনি সময় পরিকল্পনা না করলে আপনি কিছু মিস করতে পারেন।
নিকলী হাওর
নিকলী হাওর

সমাপ্তি

নিকলী হাওর বাংলাদেশের একটি অদৃশ্য জলরাশি, যা স্বচ্ছ জল, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, এবং গ্রামীণ জীবনের সাথে একত্র হয়ে থাকে। নিকলি হাওরে নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা আপনার জীবনে একটি অমূল্য অভিজ্ঞতা হিসেবে থাকবে। এই সহজ এবং সুন্দর ভ্রমণের জন্যে নিকলি হাওর আপনাকে আহ্বান জানাচ্ছে।

নিকলী ভ্রমণের উপযুক্ত সময়

হাওরের পানির রূপ দেখতে চাইলে আপনাকে বর্ষাকাল বা তার পর পর যেতে হবে। তাই নিকলী ভ্রমণের উপযুক্ত সময় জুলাই – সেপ্টেম্বর মাস। তবে সেপ্টেম্বরে তুলনামূলকভাবে পানি অনেক কমে যায়। এছাড়া বছরের যে কোন সময়ই যেতে পারেন হাওরের ভিন্ন এক রূপ দেখার জন্যে।

নিকলী যাবার উপায়

ঢাকা বা কিশোরগঞ্জ জেলার আশপাশ থেকে একদিনে ঘুরে আসতে পারবেন নিকলী হাওর থেকে। ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে এই দুইভাবেই নিকলী হাওরে যেতে পারবেন।

ঢাকা থেকে ট্রেনে যাওয়ার উপায় : ঢাকা হতে ট্রেনে গিয়ে একদিনে ঘুরে দেখতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই আন্তঃনগর এগারো সিন্ধুর প্রভাতী ট্রেনে আসতে হবে। এগারো সিন্ধুর প্রভাতী বুধবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ৬ দিন কমলাপূর ষ্টেশন থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে বিমানবন্দর, টঙ্গী, নরসিংদী ও ভৈরব ষ্টেশন হয়ে কিশোরগঞ্জ আসে। শ্রেণী অনুযায়ী ট্রেনের টিকেট ভাড়া ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। যদি ট্রেনে আসেন তাহলে সবচেয়ে ভাল হবে কিশোরগঞ্জ সদরে পোঁছার আগের ষ্টেশন গচিহাটা ষ্টেশনে নেমে গেলে। ঢাকা থেকে ট্রেনে রওনা দিয়ে আপনি সকাল ১১ টার মধ্যেই গচিহাটা ষ্টেশনে চলে আসতে পারবেন। ষ্টেশন থেকে ইজিবাইক অথবা সিএনজি দিয়ে সহজেই চলে যেতে পারবেন ১৫ কিলোমিটার দূরের নিকলী বাজারে। ইজিবাইকে জনপ্রতি ৩৫ টাকা অথবা রিজার্ভ নিলে ২৫০-৩০০ টাকা ভাড়ায় নিকলী যেতে সময় লাগবে প্রায় ১ ঘন্টা। সিএনজি রিজার্ভ নিলে খরচ হবে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা আর সময় লাগবে প্রায় ৪০ মিনিট। তবে ঐ দিনই ফিরতে চাইলে যাবার পথে আপনাকে বাসে যেতে হবে।

ঢাকা থেকে বাসে যাওয়ার উপায়: ঢাকা থেকে বাসে আসতে চাইলে ঢাকার গোলাপবাগ থেকে যাতায়াত অথবা অনন্যা সুপার বাস সার্ভিসে আসতে হবে। প্রতিদিন ভোর ৫:৩০ থেকে ১৫ মিনিট পর পর বাস ছেড়ে আসে। বাসের ভাড়া জনপ্রতি ২৭০ থেকে ৩০০ টাকা। দিনে ঘুরে রাতের মধ্যে ফিরতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই সকাল ৭টার আগেই বাসে রওনা দিতে হবে। বাসে আসলে সবচেয়ে ভাল হবে কিশোরগঞ্জ এর আগেই কটিয়াদি বাস স্ট্যান্ড নেমে গেলে। ঢাকা থেকে কটিয়াদি আসতে সময় লাগবে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘন্টা। সেখান থেকে ২২ কিলোমিটার দূরত্বের নিকলী যেতে আপনাকে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দিয়ে সিএনজি রিজার্ভ করতে হবে। আর যেতে সময় লাগবে প্রায় ১ ঘন্টা ২০ মিনিট সময় লাগে।

কিশোরগঞ্জ থেকে নিকলী : যদি কিশোরগঞ্জ জেলা শহর থেকে নিকলী যেতে চান তবে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে ষ্টেশনের সংলগ্ন নিকলীগামী সিএনজি ষ্টেশনে চলে আসুন। কিশোরগঞ্জ সদর থেকে নিকলীর দূরত্ব প্রায় ২৭ কিলোমিটার। সিএনজি ষ্টেশন থেকে লোকালে বা রিজার্ভ নিয়ে নিকলী যেতে প্রায় ১ ঘন্টা সময় লাগে। লোকালে যেতে জনপ্রতি ভাড়া ৭০ টাকা আর সিএনজি রিজার্ভ নিতে ৩৫০-৪০০ টাকা ভাড়া লাগে।

ভৈরব থেকে নিকলী : এছাড়া ভৈরব থেকেও লোকাল কিংবা রিজার্ভ সিএনজি নিয়ে নিকলী যাওয়া যায়। লোকালে যেতে জনপ্রতি ভাড়া ১২০ টাকা আর রিজার্ভ নিলে ৬০০ টাকা। ভৈরব থেকে সিএনজিতে নিকলী যেতে সময় লাগবে দেড় ঘন্টার মত।

গচিহাটা, কটিয়াদি বা কিশোরগঞ্জ; যেখান থেকেই নিকলী আসেন না কেনো আসার পথের দুইপাশের গ্রাম বাংলার দৃশ্য আপনার ভাল লাগবেই। যতই নিকলীর কাছাকাছি যেতে থাকবেন ততই সুন্দর লাগবে সবকিছু। দুপাশের দৃশ্য দেখতে দেখতেই কখন যে নিকলী পৌঁছে যাবেন সেটা বুঝতেই পারবেন না।

ট্রেনে আসলে গচিহাটা বা মানিকখালি স্টেশনে নেমে গেলে এবং বাসে আসলে কটিয়াদি নেমে গেলে কম সময় নিকলী যেতে পারবেন।

কোথায় খাবেন

নিকলী এযেখানে নামবেন সেখানেই মোটামুটি মানের কয়েকটি খাবার হোটেল আছে। তার মধ্যে হোটেল সেতু, ক্যাফে ঢেউ উল্লেখযোগ্য। হাওরের তাজা মাছের নানা পদ দিয়ে ১০০ থেকে ২০০ টাকায় ভরপেট খেয়ে নিতে পারবেন।

কিভাবে ঘুরবেন

খাওয়া দাওয়া ও প্রয়োজনীয় কাজ সেরে ইজিবাইকে বেড়ি বাঁধের শেষ প্রান্তে চলে আসুন। সেখানে দরদাম করে ঘন্টা প্রতি নৌকা ঠিক করে নিবেন হাওর ঘুরে দেখার জন্যে। ছোট নৌকা ভাড়া করতে ঘন্টা প্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা এবং একটু বড় নৌকা ভাড়া করতে ঘন্টা প্রতি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ হবে। আর বেশি সময়ের জন্যে ভাড়া করলে খরচ কিছুটা কম হবে। এক নৌকায় অনায়াসে ১০-৩০ জন পর্যন্ত উঠতে পারবেন।

আপনার হাতে কত সময় আছে সেই হিসেবেই নৌকা ভাড়া করুন। চেষ্টা করুন অন্তত ৩ ঘন্টা যেন হাতে থাকে নৌকা দিয়ে ঘুরার জন্যে। নৌকা দিয়ে হাওরে ভাসতে ভাসতে চারপাশের মোহনীয় রূপ দেখতে প্রথমেই চলে যেতে পারেন ছাতিরচর গ্রামে। সিলেটের রাতারগুলের মত জলাবনের মুগ্ধতা দেখতে দেখতে দু’চোখ জুড়িয়ে নেয়ার পাশাপাশি শীতল জলে গা ঢুবিয়ে শরীর শান্ত করার কাজটা এখানেই সেরে ফেলতে পারেন। তবে ভরা বর্ষায় পানি অনেক বেশি থাকে। তাই গোসল করতে চাইলে সাথে করে লাইফ জ্যাকেট নিয়ে যাওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

জলাবনের সৌন্দর্য দেখে তারপর আবার নৌকা নিয়ে চলে যান চর মনপুরায়। পানি বেশি হলে যদিও ডুবে যায় তবে কম থাকলে আধো ভাসমান এই চরে ঘুরে বেড়াতে পারেন কিছুটা সময়। তারপর উন্মুক্ত হাওরে শেষ বিকেলের সূর্য্য দেখতে দেখতে পূনরায় নিকলী বেড়ি বাঁধে এসে বাড়ি ফেরার পথ ধরতে হবে।

ফিরতে চাইলে আপনাকে বাসেই ফিরতে হবে। এই জন্যে নিকলী উপজেলা মোড়ে এসে সিএনজি ঠিক করে চলে যান কটিয়াদিতে। কটিয়াদি বাস স্ট্যান্ড থেকে ঢাকা যাবার শেষ বাস ছেড়ে যায় সন্ধ্যা ৭টায়। তাই সময়ে দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।

থাকার ব্যবস্থা

নিকলীতে কোনো ভালো আবাসিক হোটেল নেই। নতুন চালু হওয়া চেয়ারম্যান গেস্ট হাউজ অথবা ভালো উপজেলা ডাক বাংলো তে থাকতে পারবেন। আর চাইলে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে গিয়ে সেখানে থাকতে পারবেন। চাইলে নৌকায় বা ক্যাম্পিং করে রাত পার করে দিতে পারবেন। তবে নিরাপত্তার বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে। রাতে হাওরের মাঝখানে সাবধানে চলাচল করা উচিত।

নিকলীর আরও কিছু দর্শনীয় স্থান

গুরই শাহী জামে মসজিদ – রিকসা বা মটরসাইকেলে করে সহজেই ঘুরে আসতে পারেন।
নিকলী বেড়ি বাঁধ – নিকলী উপজেলা অফিসের সামনে থেকে বেড়িবাদ শুরু তাই হেটে – হেটে দেখা যাবে তার সৌন্দর্য।
পাহাড় খাঁর মাজার – নিকলী উপজেলা থেকে ট্রলারে করে ও মটর সাইকেলে করে যাওয়া যায়।
গুরই প্রাচীনতম আখড়া – কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলায় গুরই ইউনিয়নে এই আখড়া অবস্থিত। শুকনো মৌসুমে রিকসা, মটরসাইকেল, সিএনজি দিয়ে যাওয়া যায় কিন্তু বর্ষা মৌসুমে নৌকা বা ট্রলার যোগে যেতে হয়।

ঢাকা থেকে একদিনের ট্যুর প্ল্যান

আপনি যদি ঢাকা থেকে সকালের ট্রেনে বা সকালের কোন বাসে রওনা দেন তাহলে একদিনেই নিকলী হাওর দেখে আবার রাতের ভিতর ঢাকায় ফিরে যেতে পারবেন। সেই ক্ষেত্রে সময়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাসে আসলে চেষ্টা করতে হবে যত ভোরে রওনা দেওয়া যায়। যে ভাবেই আসেন সারাদিন ঘুরে ফেরার জন্যে আপনাকে বাসেই যেতে হবে। সেই ক্ষেত্রে নিকলী থেকে সিএনজি তে করে কটিয়াদি এসে সেখান থেকে ঢাকা যাওয়ার বাস পাবেন। কটিয়াদি থেকে ঢাকা যাওয়ার শেষ বাসের সময় সন্ধ্যা ৭টা।

কিশোরগঞ্জের অন্যান্য হাওর

কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা ছাড়াও, অষ্টগ্রাম উপজেলা, মিঠামইন উপজেলা, ইটনা উপজেলার প্রায় পুরোটাই হাওর অঞ্চল। এই হাওর গুলোও বেশ সুন্দর। বিস্তারিত পড়ুন এইখানে-

অষ্টগ্রাম হাওর ভ্রমণ
মিঠামইন হাওর ভ্রমণ
ইটনা হাওর ভ্রমণ

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *