মত্ত মঠ
মত্ত মঠ, মানিকগঞ্জ জেলা সদরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন, জীবন্ত ইতিহাসের কাহিনী। প্রায় আড়াইশত বছর পূর্বে এই মঠটি হেমসেন নামক একজন অত্যাচারী জমিদার তার পিতার শেষকৃত্য স্থলে নির্মিত হয়েছিল। নিটল দিঘির পাড়ে অবস্থিত মঠটি ১৫ শতাংশ জমির উপর নির্মিত, এবং এর উচ্চতা প্রায় ২০০ ফুট উঁচু। মঠের নির্মাণে ইরাক থেকে আনা হয়েছিল কারিগরবৃন্দ।

মত্ত মঠের ইতিহাস
প্রায় আড়াইশত বছর পূর্বে পটল গ্রামে হেমসেন নামে একজন অত্যাচারী জমিদার তাঁর পিতার শেষকৃত্য স্থলে এ মঠ নির্মাণ করেন। এই মঠের নির্মাণে ইরাক থেকে আনা কারিগরদের অবদান ছিল। মঠটি নিটল দিঘির পাড়ে ১৫ শতাংশ জমির উপর অবস্থিত এবং তার উচ্চতা প্রায় ২০০ ফুট উঁচু।
মত্ত মঠের উৎপত্তি
১৯৬৫ সালে, পটল গ্রামে হেমসেন জমিদারের পিতার শেষকৃত্য স্থলে হোয়াইট মার্বেলের এই মঠটি নির্মাণ করা হয়। মঠের আসল উদ্দেশ্য, স্থানীয় জনগণের ধর্মীয় এবং সামাজিক সুবিধা প্রদান করা, সকলের একত্রিত হতে এবং ধার্মিক অনুষ্ঠানের সুযোগ প্রদান করা ছিল।

মঠের সৌন্দর্য
মত্ত মঠের স্থান নির্মাণে ব্যবহৃত হোয়াইট মার্বেল একটি সৌন্দর্য নিদর্শন। মঠের মূল দরজা, মন্দিরের অংশ, এবং মঠের আচ্ছাদন প্রতি দিকে বিশেষ ধারাবাহিক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি প্রথম দৃষ্টিতেই ভাষা ভঙ্গ করে এবং আকর্ষণীয় রূপভঙ্গের সাথে আলোকিত হয়।
- হোয়াইট মার্বেল নির্মাণ: মত্ত মঠের সৌন্দর্যের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো হোয়াইট মার্বেল ব্যবহার করা। এই বিশেষ ধরনের মার্বেল নির্মাণ স্থানটি একটি শ্রীমন্ত এবং ঐতিহাসিক মহলে পরিণত করেছে।
- মূল দরজা: মঠের মূল দরজা হলো একটি অসাধারণ নিদর্শন। এটি একটি ভাষা ভঙ্গকর ডিজাইনে নির্মিত এবং মার্বেলের মাধ্যমে চিত্রিত হয়েছে, যা একটি আদর্শ সৌন্দর্য দর্শকের কাছে এক প্রকারের কল্পনা করে।
- মন্দিরের অংশ: মঠের মন্দির অংশটি অদ্ভুত সৌন্দর্যের সাথে পূর্ণ করা হয়েছে। মার্বেলে রচিত স্তম্ভ, শিখর, এবং অন্যান্য ভব্যতার সাথে মন্দিরটি একটি চমৎকার দৃশ্য প্রদান করে।
- মঠের আচ্ছাদন: মঠের আচ্ছাদন প্রতি দিকে বিশেষ ধারাবাহিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি স্থানটির সামগ্রিক সৌন্দর্যে একটি অনন্য মুহূর্ত সৃষ্টি করে এবং আগত দর্শকদের মতো করে দেখাচ্ছে এবং আনন্দ করতে অনুমতি দেয়।
- আলোকিত রূপভঙ্গ: হোয়াইট মার্বেলের এই মঠের রূপভঙ্গ একটি অসাধারণ আলোকিত দৃশ্য সৃষ্টি করে। সবুজ পর্দার সাথে মিশে এটি মোহামূল্যবান দেখানো হয়েছে, যা একটি আত্মবিশ্বাসী এবং প্রতিষ্ঠানবিশেষ ভাবে দৃষ্টিহীন করে।
- সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান: মঠের সৌন্দর্য তার সাংস্কৃতিক মৌল্যের কারণেও অমূল্যবান। হোয়াইট মার্বেলে তৈরি হওয়া মঠটি ধার্মিক এবং ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠানের মানুষকে একসঙ্গে এনে দিচ্ছে এবং তাদের সাম্রাজ্যিক অধিকারের সাথে মিলে একটি মুকুট দান করছে।
- ভিন্নতা ও আদর্শ: মঠের সৌন্দর্য ভিন্নতা এবং আদর্শের মিশ্রণ। সুজন ও শোভন ভৌগোলিক অবস্থান বিশিষ্ট করে এবং এর ভিন্নতা একটি বিশেষ আদর্শ প্রদান করে, এটি মঠটি স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যটকদের মধ্যে একটি জনপ্রিয় গন্ধবান্ধন হিসেবে কর্ম করছে।
- সাক্ষাৎকার স্থান: মঠের সৌন্দর্যের একটি অপর দিক হলো এর সাক্ষাৎকার স্থান। এটি আত্মবিশ্বাসী এবং অভ্যন্তরীণ শান্তি ও প্রবৃদ্ধির জন্য একটি পুরাতাত্ত্বিক এবং সাংস্কৃতিক স্থান হিসেবে একটি সূচনা করে।
মঠের সামাজিক ভূমিকা
মত্ত মঠের অধিষ্ঠাতা ছিলেন হেমসেন জমিদার, এবং তিনি চান্দ্র মত্তের অভিজ্ঞান এবং তার ধার্মিক মূল্যের অনুসরণে এই মঠটি নির্মাণ করেন। মঠের সামাজিক কাজের মাধ্যমে প্রচুর মানুষ একত্র আসতেন এবং এক সাথে অনুষ্ঠান করতেন বিভিন্ন ধার্মিক অনুষ্ঠান।
পর্যটকদের আগ্রহ
১৯৬৫ সালের দিকে, একদল আমেরিকান পর্যটক মত্ত মঠে আগ্রহ প্রকাশ করে, তারপরও স্থানীয় হিন্দুদের বাধার কারণে সম্ভব হতে পারেনি। কিন্তু ১৯৭২ সালে একদল চীনা পর্যটক মঠের কারুকার্যপূর্ণ নির্মাণশৈলী দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে, যা মঠটির অভ্যন্তরে এবং বাইরে বিস্তারিতভাবে দেখতে এসেছিল।

মত্ত মঠ এবং চীনার সম্পর্ক
মঠটি চীনা পর্যটকের মধ্যে একটি প্রিয় গন্ধবান্ধন ছিল। চীনি পর্যটকরা মঠে তাদের ধার্মিক এবং সাংস্কৃতিক পরিচয় বাড়াতে আসতেন এবং এটি একটি ধারাবাহিক স্থান হিসেবে পুনরায় চিহ্নিত করতেন।
মত্ত মঠের ভবিষ্যত
মত্ত মঠের ভবিষ্যতের দিকে প্রকাশ করার জন্য প্রয়োজন হবে যত্ন। এটি আমাদের ঐতিহাসিক সম্পদ এবং সাংস্কৃতিক মৌল্য সংরক্ষণ করার জন্য প্রয়োজন এবং পর্যটকদের মধ্যে এটি একটি জনপ্রিয় গন্ধবান্ধন হিসেবে রয়েছে।
কিভাবে যাবেন
রাজধানী ঢাকার গাবতলি বাস টার্মিনাল হতে নীলাচল, পদ্মা লাইন, সেলফি প্রভৃতি পরিবহণের বাস মানিকগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। মানিকগঞ্জ জেলা শহরের যেকোন প্রান্ত থেকে রিকশা/সিএনজি দিয়ে মত্ত মঠ দেখতে যেতে পারবেন।
মানিকগঞ্জে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা
রাজধানী ঢাকার নিকটবর্তী হওয়ায় মত্ত মঠ দেখে দিনে দিনেই ফিরে আসতে পারবেন। তবে আশেপাশে থাকার তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। মানিকগঞ্জ শহরে থাকার মত কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। আর খাবারের জন্য মানিকগঞ্জ সাধারণ ও মাঝারী মানের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট পাবেন। অবশ্যই সুযোগ থাকলে মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার তেরশ্রী গ্রামের বিখ্যাত নিজামের মিষ্টি খেয়ে দেখুন।
সমাপ্তি
মত্ত মঠ, একটি প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্য, মানিকগঞ্জ জেলা সদরে অবস্থিত, একটি বৃহত্তর সংস্কৃতির কেন্দ্র, একটি অদ্ভুত পর্যটন আকর্ষণ। এই মঠের ঐতিহাসিক মৌলিকতা, সৌন্দর্য, এবং ভবিষ্যদ্রশন তার গুরুত্ব বেড়ে এসেছে এবং এটি নিজেকে একটি আদর্শ পর্যটন স্থানে পরিণত করতে চলেছে।
আশা করছি, এই লেখা পড়ার পর আপনি মত্ত মঠের অনুভূতির মধ্যে অবদান রাখতে উদাসীন হবেন না, বরং আপনি এই স্থানে ভ্রমণ করে একটি অদভুত অভিজ্ঞান অর্জন করতে চলেছেন।