ভোলাগঞ্জ

ভোলাগঞ্জ

ভোলাগঞ্জ: বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পাথর কোয়ারির অঞ্চল

ভোলাগঞ্জ সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত প্রকৃতি মায়ায় মোড়ানো দেশের সর্ববৃহৎ পাথর কোয়ারির অঞ্চল। এখানে পাথরের ধারাবাহিক খনন হলের উপাদানে নিয়ে গেলে ভোলাগঞ্জ সম্পুর্ণ প্রদর্শনীর মতো পরিণত হয়ে ওঠে। এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে পাথরের সৌন্দর্যও মিলে একটা অপূর্ব মেলা তৈরি করে তোলে। ভোলাগঞ্জের অপরিসীম প্রাকৃতিক রূপ ও অদ্ভুত সাহিত্যিক প্রসঙ্গের মধ্যে পাথরের খনন একটি অনন্য অংশ গঠন করে।

ভোলাগঞ্জ
ভোলাগঞ্জ

ভোলাগঞ্জের অপূর্ব সৌন্দর্য

ভোলাগঞ্জ সীমান্তে প্রাকৃতিক দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের উঁচু উঁচু পাহাড়। এই পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝর্ণাধারা একদিকে ধলাই নদের পানির যোগানদাতা অন্যদিকে এই পানি প্রবাহই ভোলাগঞ্জের রূপের উৎস। সবুজ পাহাড়, মেঘের হাতছানি আর বর্ষার পাহাড়ি ঢলের সাথে নেমে আসা সাদা পাথর ধলাই নদের বুকে মিলে মিশে ভোলাগঞ্জের সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। ধলাই নদের উৎস মুখের পাথর পরিবেষ্টিত জায়গাটুকু ভোলাগঞ্জ জিরো পয়েন্ট বা সাদা পাথর নামে পরিচিত। সাদাপাথর এলাকাটি দেখতে অনেকটা ব-দ্বীপের মত। ধলাই নদী বাংলাদেশ অংশে প্রবেশ করে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে চারপাশ ঘুরে আবার মিলিত হয়েছে।

ভোলাগঞ্জের অনন্য পাথর খনন

ভোলাগঞ্জ থেকে সোয়া ১১ মাইল দীর্ঘ এই রোপওয়ে চলে গেছে ছাতক পর্যন্ত, যা ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ব্যবহৃত হত। বর্তমানে রোপওয়ের টাওয়ারগুলো কালের স্মৃতিচিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছে। রোপওয়ে বন্ধ হলেও থেমে নেই পাথর উত্তোলন। এখনো অনেক স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবিকার উৎস এই পাথর উত্তোলন। ১০ নং ঘাট থেকে সাদাপাথর যাওয়ার পথে পাথর তোলা কিংবা ছোট নৌকায় পাথর বহন করে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য চোখে পড়বে।

ভোলাগঞ্জ
ভোলাগঞ্জ

ভোলাগঞ্জে আসতে সময়

ভোলাগঞ্জ যাবার সবচেয়ে ভাল সময় হচ্ছে বর্ষাকাল ও তার পরবর্তী কিছু মাস। অর্থাৎ জুন থেকে ডিসেম্বর মাসের যেকোন সময় ঘুরে আসতে পারেন ভোলাগঞ্জ থেকে। অন্যসময় গেলে পাথরময় সৌন্দর্য দেখতে পেলেও নদীতে পানি প্রবাহ তুলনামুলক কম পরিমাণে থাকে।

পরিস্থিতির সাথে অবগত থাকুন

ভোলাগঞ্জে যাওয়ার আগে পরিস্থিতির সাথে অবগত থাকা গুরুত্বপূর্ণ। বর্ষাকালে নদীর পানি উচ্চ হয়ে উঠতে পারে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকতে পারে। অতএব, সতর্কতা অবলম্বন করে ভ্রমণ করা উচিত।

সংক্ষিপ্তসার

ভোলাগঞ্জ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় স্থান। এখানে অনেকগুলি প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে, যেগুলি ভ্রমণকারীদের আকৃষ্ট করে তোলে। তাই, ভোলাগঞ্জে ভ্রমণের জন্য সময় বার্তাচিত্রের সাথে সঠিকভাবে যোগাযোগ করা এবং পরিস্থিতি অবগত থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

পরিস্থিতিতে নির্ভরশীলতা

ভোলাগঞ্জ ভ্রমণের জন্য বৃহত্তম সময় হচ্ছে বর্ষাকাল ও তার পরবর্তী কিছু মাস। অন্যসময় গেলে পাথরময় সৌন্দর্য দেখতে পেলেও নদীতে পানি প্রবাহ তুলনামুলক কম পরিমাণে থাকে।

সামাজিক পরিষেবা

ভোলাগঞ্জে ভ্রমণ করার আগে সামাজিক পরিষেবাগুলি পরীক্ষা করতে সময় বিন্যাস করা গুরুত্বপূর্ণ।

নৈতিক শেখানো

আপনার ভ্রমণ নৈতিক হওয়া প্রয়োজন। ভোলাগঞ্জ পর্যটন স্থানে স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিস্থিতির প্রতি সচেতন হন এবং এগুলির সংরক্ষণ করুন।

কিভাবে যাবেন

সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জের দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার। দেশের যেখান থেকেই ভোলাগঞ্জ যেতে চান আপনাকে প্রথমে সিলেট শহরে আসতে হবে। সিলেট থেকে বাস, সিএনজি, লেগুনা বা প্রাইভেট কারে করে যাওয়া যায় ভোলাগঞ্জ। বর্তমানে ভোলাগঞ্জ যাওয়ার রাস্তার অবস্থা অনেকটা ভাল।

ঢাকা থেকে বাসে সিলেট :

ফকিরাপুল, সায়দাবাদ ও মহাখালী বাস স্টেশন থেকে গ্রীন লাইন, সৌদিয়া, এস আলম, শ্যামলি ও এনা পরিবহনের এসি বাস যাতায়াত করে, বাস ভেদে জনপ্রতি টিকেটের মূল্য ১,৪০০ টাকা থেকে ১,৫০০ টাকা। আর নন-এসি বাসের ভাড়া ৬৮০ থেকে ৭৫০ টাকা।

ঢাকা থেকে ট্রেনে সিলেট :

ঢাকা থেকে ট্রেনে করে সিলেট যেতে কমলাপুর কিংবা বিমান বন্দর রেলওয়ে স্টেশান হতে উপবন, জয়ন্তিকা, পারাবত অথবা কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনকে বেছে নিতে।

চট্টগ্রাম থেকে সিলেট :

চট্টগ্রাম থেকে বাস ও ট্রেনে সিলেট যাওয়া যায়। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে সিলেট যেতে পাহাড়িকা এবং উদয়ন এক্সপ্রেস নামের দুটি ট্রেন সপ্তাহে ৬ দিন চলাচল করে।

সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জ

সিলেটের আম্বরখানা থেকে সিএনজি এবং মজুমদারী এলাকা থেকে ভোলাগঞ্জ যাবার বিআরটিসি, লোকাল ও টুরিস্ট বাস পাওয়া যায়। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রতি ২০ মিনিট পর পর এসব বাস চলাচল করে। জনপ্রতি ৭০ টাকা ভাড়ায় ভোলাগঞ্জ জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন সাদাপাথর যেতে পারবেন। লোকাল সিএনজিতে জনপ্রতি ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা ভাড়ায় ভোলাগঞ্জ যেতে পারবেন। সিএনজি রিজার্ভ নিলে যাওয়া আসার ভাড়া লাগবে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। এক সিএনজিতে ৫ জন বসা যায়। আম্বরখানা থেকে ভোলাগঞ্জ যেতে ১ ঘন্টা ৩০ মিনিটের মত সময় লাগবে। ভোলাগঞ্জ নেমে দশ নম্বর নৌকা ঘাট থেকে সাদাপাথর যাওয়া ও আসা সহ নৌকা ভাড়া করতে খরচ হবে ৮০০ টাকা। প্রতি নৌকায় সর্বোচ্চ ১০ জন যেতে পারবেন, যদিও কতৃপক্ষ ৮ জনের বেশি এক নৌকায় যেতে দিতে চায় না।

চাইলে মাইক্রো কিংবা প্রাইভেট কার রিজার্ভ করে সরাসরি ভোলাগঞ্জ দশ নম্বর ঘাট যেতে পারবেন। খরচ হবে ২৫০০-৩০০০ টাকা।

এছাড়া সিএনজি, লেগুনা বা প্রাইভেট কারে কোম্পানীগঞ্জের টুকের বাজার হয়ে ভোলাগঞ্জ যেতে পারবেন। সিলেট শহর হতে টুকের বাজার যাওয়ার অটোরিক্সার ভাড়া জনপ্রতি ২০০ টাকা। টুকের বাজার থেকে ভোলাগঞ্জ জিরো পয়েন্ট সাদাপাথর যাওয়ার ট্রলার পাওয়া যায়। এমনকি বর্ষাকালে ছাতক হয়ে নৌকাযোগে ভোলাগঞ্জ যাওয়া যায়।

উৎমাছড়া ও তুরংছড়া

ভোলাগঞ্জের কাছেই আরও দুইটি পর্যটন স্থান উৎমাছড়া ও তুরংছড়া। অনেকেই সাদা পাথর ভ্রমণ করে উৎমাছড়া ও তুরংছড়া ঘুরতে যান। ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর ঘুরে উৎমাছড়ায় যেতে চাইলে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে দয়ারবাজার। আপনি যেই নৌকায় ভোলাগঞ্জ যাবেন সেই নৌকার মাঝিকে বললেই তিনি দয়ারবাজার ঘাটে নামিয়ে দিবে। সেক্ষেত্রে অল্প কিছু টাকা বেশি দিতে হতে পারে। অথবা আগেই নৌকা ঠিক করার সময় বলে দিবেন।

দয়ার বাজার গিয়ে সেখান থেকে সিএনজি/বাইক নিয়ে জনপ্রতি ৩০-৫০ টাকা ভাড়ায় চলে যান চরার বাজার। চরার বাজার নেমে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই উৎমাছড়ার পথ দেখিয়ে দিবে। সেখান থেকে ১০-১৫ মিনিট হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন উৎমাছড়া পয়েন্টে। আর চরারবাজার থেকে তুরংছড়া হেঁটে যেতে সময় লাগে ৩০-৪০ মিনিট। চাইলে চরারবাজার থেকে বাইক নিয়েও যেতে পারবেন।

সিলেটে ফিরে আসার সময় আপনার অবস্থান অনুযায়ী চরারবাজার/দয়ারবাজার/ভোলাগঞ্জ থেকে সরাসরি সিএনজি নিয়ে চলে আসতে পারেন সিলেটের আম্বরখানায়।

কোথায় খাবেন

ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর কিংবা ১০ নং ঘাটে ভালমানের খাবার হোটেল বা রেস্টুরেন্ট নেই। ভাত মাছ ও দেশীয় খাবার খাওয়ার মত সাধারন মানের কিছু হোটেল আছে। ভোলাগঞ্জ যাবার রাস্তায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সদরে দেশবন্ধু রেস্টুরেন্ট, আলম হোটেল এবং টুকের বাজারে নবীন রেস্তোরাঁ, মায়া রেস্টুরেন্ট সহ কয়েকটি মাঝারি মানের খাবার হোটেল আছে। ভোলাগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হবার আগে সিলেট থেকে নাস্তা করে নিলে সারাদিন ঘুরে সিলেটে ফিরে এসে রাতের খাবার খেতে পারবেন। তবে দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য স্থানীয় হোটেলেই একমাত্র ভরসা।

কোথায় থাকবেন

ভোলাগঞ্জ বা কোম্পানীগঞ্জ থাকার মত খুব ভাল আবাসিক হোটেল নেই। যদি কোন কারণে ভোলাগঞ্জে থাকার প্রয়োজন হয় তাহলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সদরে যেতে হবে। কোম্পানীগঞ্জে হোটেল আল ছাদিক, হালিমা বোর্ডিং, বাদশা বোর্ডিং, হোটেল আল হাসান প্রভৃতি সাধারণ মানের নন-এসি আবাসিক হোটেল ও জেলা পরিষদের একটি ডাক বাংলো রয়েছে।

সকালে রওনা হলে ভোলাগঞ্জ ঘুরে বিকেল/সন্ধ্যার মধ্যেই সিলেট শহরে ফিরে আসা যায়। তাই রাতে থাকার জন্যে সিলেট শহরে ফিরে আসাই ভাল। লালাবাজার এলাকা ও দরগা রোডে কম ভাড়ায় অনেক মানসম্মত আবাসিক হোটেল ও রেস্ট হাউস আছে৷ যেখানে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিভিন্ন ধরণের রুম পাবেন। এছাড়া হোটেল হিল টাউন, গুলশান, দরগা গেইট, সুরমা,কায়কোবাদ ইত্যাদি হোটেলে আপনার প্রয়োজন ও সামর্থ অনুযায়ী থাকতে পারবেন।

ভোলাগঞ্জ
ভোলাগঞ্জ

ভ্রমণ টিপস ও সতর্কতা

  • চেষ্টা করবেন ঘুরে তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে, যাতে সন্ধ্যা না হয়ে যায়।
  • সাদা পাথর কতক্ষণ থাকবেন সেটা নৌকার মাঝিকে আগেই জানিয়ে রাখুন। আপনাদের ইচ্ছে মত সময় অবস্থান করতে পারবেন।
  • সীমান্তবর্তী জায়গা, তাই সাবধানে থাকবেন।
  • নদী পথে ভোলাগঞ্জ শুধু মাত্র বর্ষাকালে যাওয়া যায়।
  • খেতে চাইলে সেখানের স্থানীয় হোটেল গুলো থেকেই খেতে হবে।
  • বর্ষাকালে নদীর পানিতে অনেক স্রোত থাকে, সাঁতার না জানলে বেশি পানিতে নামা দরকার নাই।
  • যানবাহন ভাড়া করার সময় অবশ্যই দরদাম করে নিবেন।
  • কম খরচে ঘুরতে চাইলে গ্রুপ করে ঘুরতে পারেন।
  • একদিনে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর, উৎমাছড়া ও তুরংছড়া ঘুরতে চাইলে অবশ্যই খুব সকাল সকাল রওয়ানা হতে হবে।
  • চাইলে সিলেটের আম্বরখানা থেকে সিএনজি যাওয়া আসা এবং সেখানের স্পট গুলোতে ঘুরার জন্যে সারা দিনের জন্য ভাড়া করে নিতে পারেন। এইক্ষেত্রে খরচ একটু বেশি হতে পারে।

চূড়ান্ত

ভোলাগঞ্জ অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি স্থান। এটি আপনাকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, চিত্রগত দৃশ্য, এবং ভারতীয় সংস্কৃতির সাথে পরিচিত করার সুযোগ দেয়। তাই, ভোলাগঞ্জ ভ্রমণ করার পর আপনি নিশ্চিত হয়ে উঠবেন একটি অলাভজনক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।

প্রধান উল্লেখযোগ্য পয়েন্টস

  • ভোলাগঞ্জ একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান।
  • বর্ষাকাল ভ্রমণের সবচেয়ে ভাল সময়।
  • নিশ্চিত হন যে আপনি নৈতিক ভ্রমণ পরিবেশের সংরক্ষণ করে আপনার পরিবার ও সমাজকে শেখানোর জন্য আগ্রহী।

Similar Posts

  • বিছনাকান্দি

    প্রাকৃতিক শান্তির উপজেলা: বিছনাকান্দি বিছনাকান্দি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। এটি মূলত একটি পাথর কোয়ারী, যা জাফলং ও ভোলাগঞ্জের মতই উভয়পক্ষের সীমান্তের খাসিয়া পাহাড় থেকে আসা ধাপের মিলনে উত্তর দিকে অবস্থিত। এই অঞ্চলে সুউচ্চ মেঘালয়ের খাঁজে থাকা সুন্দর ঝর্ণা বিছনাকান্দিকে আরও আকর্ষণীয় করে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অদ্ভুত সমন্বয় বিছনাকান্দি একটি অদ্ভুত সমন্বয়ের উদাহরণ, যেখানে পাথরের…

  • টাঙ্গুয়ার হাওর

    বাংলাদেশ, একটি দরিদ্র দেশ, যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরিহার্য অভাব মনে হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের মাঝেমাঝে অবিস্মরণীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সম্পন্ন অঞ্চলগুলো রয়েছে, যেখানে আপনি প্রকৃতির অদ্ভুত সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। এই অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি অত্যন্ত মনোরম এবং অনন্য – টাঙ্গুয়ার হাওর। টাঙ্গুয়ার হাওর: পরিচিতি ও আকর্ষণীয়তা টাঙ্গুয়ার হাওর, সুনামগঞ্জের অপরুপ একটি নৈসর্গিক আকর্ষণ। এই হাওর প্রায়…

  • নীলাদ্রি লেক

    নীলাদ্রি লেক, সুনামগঞ্জের একটি অবিস্মরণীয় পর্যটন স্থান, যা চুনাপাথরের পরিত্যাক্ত খনির লাইম স্টোন খনির খনিকর্মস্থল হিসেবে পরিচিত। এই নীলাদ্রি লেক অবস্থিত সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের টেকেরঘাট নামক গ্রামে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই লেকটির আকর্ষণে অনেকে এটিকে বাংলার কাশ্মীর হিসাবে উল্লেখ করেন। এই নিবন্ধে আমরা নীলাদ্রি লেকের অদ্ভুত সৌন্দর্য, পর্যটনের সুযোগ, ও সংশ্লিষ্ট তথ্য…

  • জাফলং

    বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত জাফলং সিলেট জেলার একটি অপরূপ দর্শনীয় স্থান। তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, মানব সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের মিশ্রণ এই এলাকাকে আকর্ষণীয় করে তোলে। এই নিবন্ধে আমরা জাফলং সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। জাফলং: এক নজরে: জাফলং সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ভারতের মেঘালয় সীমান্তে অবস্থিত একটি অপরূপ প্রাকৃতিক দর্শনীয় স্থান। এই স্থানটি পছন্দকারী কারণ হিসাবে মানুষের মধ্যে খুবই…

  • সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান

    সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় অবস্থিত সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, একটি প্রাকৃতিক রহস্যময় স্থান। ২০০৫ সালে প্রায় ২৪৩ হেক্টর জায়গা নিয়ে এই উদ্যানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ব্যক্তিত্বপূর্ণ উদ্যানের অধিকাংশ অঞ্চল প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠেছে, যা প্রাণীজগতের জন্য একটি আদর্শ বাসস্থান তৈরি করেছে। এই ব্যাপক এলাকা প্রায় ১৪৫ প্রজাতির বিভিন্ন গাছ-পালা এবং প্রাণীজগতের বন্য জীবনের নিখুঁত সাক্ষী…

  • হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার

    সিলেট, বাংলাদেশের একটি প্রশিক্ষণগ্রহীত শহর, যেখানে সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের মাঝে অবিস্মরণীয় ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় অবদান অবস্থান করে সকলের চেহারায় একটি মনোহারী নগর। এই নগরের মধ্যে অবিস্মরণীয় একটি স্থান হচ্ছে হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার, যা সিলেটের পূন্যভূমি হিসেবে খ্যাত। এই বিশেষ স্থানটির উপরে আমাদের এই আর্টিকেলে একটি বিশদ পর্যালোচনা করা হবে, যেখানে আমরা হযরত শাহজালাল (রঃ)…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *